মসজিদের ছবি বাংলাদেশ (Photo of mosque Bangladesh)

মসজিদের ছবি বাংলাদেশ অসংখ্য সুন্দর মসজিদ দেশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের হাজারো সুন্দর মসজিদের মাঝে সেরা গুলো বেঁছে নেওয়া খুবই কঠিন।

পৃথিবীর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের স্থান তৃতীয়তম। ইসলামের সুচনা লগ্ন থেকেই বাংলাদেশে ইসলামের সুশীলতম বাতাস বয়ে যাচ্ছে।এদেশের ইসলাম প্রিয় মানুষ দেশের আনাচে কানাচে অসংখ্য মসজিদ নিজেদের টাকায় তৈরী করেছে। আবার অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন দেশ বা সংস্থা থেকে অনুদানের অর্থ এনে মসজিদ নির্মান করেছে।যা আমাদের ইসলামিক কৃষ্টি ও কালচার কে সুন্দর এবং স্বয়ং সম্পুর্ন করেছে।

আজকে এই পোষ্টে মসজিদের ছবি বাংলাদেশ নাম দিয়ে বিভিন্ন ছবি পোষ্ট করবো। যাতে সৌন্দর্য ও সংগ্রহের ভিত্তিত দেওয়া হলো।

আপনার এলাকার মসজিদের ছবি আমাদের ফেসবুক পেইজে পাঠাতে পারে আমরা উপযুক্ত ক্রেডিট সহ প্রকাশ করবো।

মসজিদের ছবি বাংলাদেশ সিরিয়াল অনুযায়ী দেওয়া হলোঃ

১।রমজান মিয়া জামে মসজিদ। কবির হাট, নোয়াখালী।৩০০ বছরের অধিক পুরাতন। প্রত্নতান্ত্রিক ভ্যালু সমৃদ্ধ এই স্থাপনা স্থানীয়দের কাছে চৌধুরী মসজিদ নামে অধিক পরিচিত।


রমজান মিয়া জামে মসজিদ, কবিরহাট, নোয়াখালী -www.islamiblogbd.com

২।মির্জাপুর শাহী মসজিদ, অটোয়ারী, পঞ্চগড়। মনোরম এই মসজিদটি লম্বা ৪০ফুট। এটির প্রস্থ হচ্ছে ২৪ফুট। চারকোনা বিশিষ্ট চারটি মিনার আছে। ছাদে আছে পাশাপাশি তিনটি মিনার। নকশায় আছে বিভিন্ন টেরাকোটার ব্যবহার।


মির্জাপুর শাহী মসজিদ
মির্জাপুর শাহী মসজিদ, অটোয়ারী, পঞ্চগড় - www.islamiblogbd.com


৩।বায়তুল আমান জামে মসজিদ, হযরতপুর, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা। মসজিদটি হযরতপুর তথা কেরানীগঞ্জের কৃতি সন্তান আমান উল্লাহ আমান ২০০৪ সালে নির্মান করেন। যিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।


বায়তুল আমান জামে মসজিদ
বায়তুল আমান জামে মসজিদ, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা - www.islamiblogbd.com


৪।বাঘা মসজিদ, বাঘা, রাজশাহী। প্রায় ৫০০ বছরের পুরাতন। রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। একপাশে একটি দিঘী অন্য পাশে একটি কবরস্থান রয়েছে। ১৮৯৭ সালে ভুমিকম্পে ছাদের অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রায় ৭৬ফুট লম্বা ও প্রস্থে ৪২ফুট। ধবংস প্রাপ্ত ছাদ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ পরে ছাদ ও ছাদের উপর গম্বুজ পুনরায় নির্মান করেন।মসজিদের ছবি বাংলাদেশ এর তালিকায় এই মসজিদ চার নম্বরে আছে।


বাঘা মসজিদ, বাঘা, রাজশাহী - www.islamiblogbd.com


৫।কুসুম্বা মসজিদ, মান্দা, নওগাঁ। নওগাঁ যেতে আত্রাই নদীর উপর অবস্থিত মান্দা ব্রিজ পার হয়ে মান্দার কুসুম্বা গ্রামে অবস্থিত এই প্রাচীন মসজিদ।এই মসজিদ কুসুম্বা দিঘীর পশ্চিম পাশে অবস্থিত। এটি ধসুর বর্ণের পাথরে তৈরী।বাংলাদেশে চলমান পাঁচ টাকার নোটে এই মসজিদের ছবি ছাপানো আছে। নির্মানকাল লেখা আছে ৯৬৬ হিজরি।

কুসুম্বা মসজিদ
কুসুম্বা মসজিদ, মান্দা, নওগাঁ - www.islamiblogbd.com


৬।হাটহাজারী শাহী জামে মসজিদ, হাটহাজারী, চট্রগ্রাম।এটি হাটহাজারীতে অবস্থিত আল - জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসাতে অবস্থিত। বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভুমিকা রেখে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান। এটি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান।


হাটহাজারী শাহী জামে মসজিদ
হাটহাজারী শাহী জামে মসজিদ - www.islamiblogbd.com


৭।আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, চট্রগ্রাম। মোগল আমলের স্থাপত্য শৈলীর ব্যবহার এখানে লক্ষ্য করা যায়। চট্রগ্রাম শহর থেকে মাত্র সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।বড় বড় পাথর ব্যবহার করে দিল্লীর শাহী মসজিদের আদলে এই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে। ১৬৬৭ সালে আওরঙ্গোজেব শায়েস্তা কে একটি মসজিদ নির্মানের নির্দেশ দেন। কারণ ছিলো চট্রগ্রামের স্মৃতি ধরে রাখা। স্মৃতি ধরে রাখতে এই মসজিদ গড়ে তোলা হয়।তার পর এখানে ইমাম খতীব নিয়োগ দেওয়া হতো মদিনার আওলাদে রাসুলগন।


আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ
আন্দর কিল্লা শাহী জামে মসজিদ - www.islamiblogbd.com


৮।কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। যে মসজিদের পাশে শায়িত আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। যিনি জনগনের মাঝে বিদ্রোহী কবি নামে অধিক পরিচিত তিনি এই মসজিদের পাশে সমাহিত আছেন। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেদ্রীয় মসজিদ এটি। মসজিদ টি অনন্য এর নির্মানশৈলী, নান্দনিকতা ও কারুকার্যময়তার জন্য।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ
কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা, বিশ্ববিদ্যালয় - www.islamiblogbd.com


আরো কিছু মসজিদের ছবি বাংলাদেশ এরঃ

৯।বায়তুল আমান জামে মসজিদ, গুটিয়া, বরিশাল। গুটিয়া মসজিদ নামে বেশি পরিচিত। এস এম সরফুদ্দিন আহমেদ এই মসজিদ কমপ্লেক্সের নির্মান ব্যয় বহন করেন। তার গ্রামের বাড়ী চাংগুরিয়া। এই কমপ্লেক্সের ভেতরে কুড়ি হাজার মুসল্লির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ঈদের মাঠ রয়েছে। মুল কমপ্লেক্সে প্রবেশ পথে ডান পাশে একটি বড় পুকুর রয়েছ।অনেক বড় একটি মিনার এই মসজিদের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছে। মসজিদের মিনারটির উচ্চতা ১৯৩ ফুট। ১৬ ডিসেম্বর ২০০৩সালে এটির নির্নান কাজ শুরু করে ২০০৬সালে এর কাজ শেষ হয়।

আরো পড়ুনঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ।


মসজিদের ছবি বাংলাদেশ
বায়তুল আমান জামে মসজিদ, গুটিয়া, বরিশাল - www.islamiblogbd.com


১০।আতিয়া মসজিদ, টাঙ্গাইল। দেলদুয়ার উপজেলা টাঙ্গাইল জেলার অধীনে এই মসজিদ টি অনেক পুরাতন একটি মসজিদ।ঐতিহাসিক এই মসজিদটি বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় একটি। বাংলাদেশ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই স্থাপনাটির দেখভালে দ্বায়িত্বে নিয়োজিত। এতে নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা হয়।এটি নির্মান কাল নিয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। প্রাপ্ত্য শিলা লিপি থেকে এই নির্মান কাল পাওয়া যায় ১৬০৮ - ১৬০৯ অথবা ১৬১০ - ১৬১১ সাল।


আতিয়া মসজিদ টাঙ্গাইল
আতিয়া মসজিদ, টাঙ্গাইল - www.islamiblogbd.com


১১।বজরা শাহী জামে মসজিদ, সোনাইমুড়ি, নোয়াখালী। ১৮শ শতকে নির্মিত।বজরা ইউনিয়নে অবস্থিত। বজরা ইউনিয়ন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন। নোয়াখালীর উল্লেখ্য যোগ্য ঐতিহাসিক স্বাপনার মধ্যে এটি একটি। ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই মসজিদটি দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন। দুর্লভ স্থাপনা সংরক্ষনের জন্য এই বিভাগ কাজ করে চলেছ।


বজরা শাহী জামে মসজিদ, সোনাইমুড়ি, নোয়াখালী - www.islamiblogbd.com


১২।তেতুলিয়া জামে মসজিদ, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ। সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় অবস্থিত। গ্রামের নাম তেতুলিয়া। জমিদার পরিবার এই মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। জমিদার কাজী পরিবার এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা। জমিদারের নাম ছিলো খান বাহাদুর সালামাতুল্লাহ। সে সালাম মঞ্জিল নামের একটি জমিদার বাড়ীর প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন। যা বর্তমানে ধ্বংস প্রাপ্ত। ৬গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের চার টি মিনার ছিলো। মসজিদের ছবি বাংলাদেশ এর তালিকায় ১২ স্থান দখল করে আছে। তার প্রত্নতাত্ত্বিক মুল্যের জন্য।


তেতুলিয়া জামে মসজিদ
তেতুলিয়া জামে মসজিদ সাতক্ষীরা - www.islamiblogbd


১৩।খেরুয়া মসজিদ, শেরপুর, বগুড়া। মির্জা মুরাদ খান কাকশাল যার বাবার নাম ছিলো জহূর উদ্দিন কাকশাল। তিনি ১৫৮২ সালে এই প্রাচীন মসজিদ টি নির্মান করেন। সারা বাংলাদেশের হাজারো প্রত্ন নিদর্শনের মধ্যে এই খেরুয়া মসজিদ গুরুত্বপুর্ন স্থান দখন করে আছে। মোগল আমলের স্থাপত্য শৈলীর সাথে সুলতানী আমলের স্থাপত্য কর্ম যোগ হয়ে এই মসজিদ গড়ে উঠেছে। ৪৩৫ সালের পুরাতো এই মসজিদ শেরপুর উপজেলার খোন্দকার টোলায় অবস্থিত।


খেরুয়া মসজিদ
খেরুয়া মসজিদ, শেরপুর, বগুড়া - www.islamiblogbd.com


১৪।খনিয়া দিঘী মসজিদ, চাঁপাই নবানগঞ্জ। খনিয়া দিঘীর পাশে অবস্থিত তাই খনিয়া দিঘী মসজিদ বলা হয়। জৈনক্য রাজবিবি নামে একজন ১৪৮০সালে এই মসজিদ নির্মান করেন বলে ধারণা করা হয়।রাজশাহী বিভাগের চাঁপাই জেলা এই মসজিদ গড়ে উঠেছে।উপজেলার নাম শিবচর যা চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২৬০৪ বর্গমিটার আয়তনের এই মসজিদ লম্বা ৬৪ফুট ও প্রস্থ ৪২ফুট।বাইরের দিকে কারুকার্য মন্ডিত, পুরোটাই ইটের তৈরী।


খনিয়া মসজিদ চাঁপাই নবাবগঞ্জ
খনিয়া মসজিদ, শিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ - www.islamiblogbd.com


১৫।শহীদি মসজিদ, কিশোরগঞ্জ।এটি কিশোরগঞ্জের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা।এটি জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। ৫তলা বিশিষ্ট মিনার এই মসজিদের প্রধান আকর্ষন। এই মিনার আবার তিন তলা বিশিষ্ট মসজিদের উপরে নির্মান করা হয়েছ। এই মসজিদ কে ঘিরে একটি মাদ্রাসা পরিচালিত হয়ে থাকে। এই মসজিদ থেকে অল্প একটু দূরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাও শোয়ালাকিয়া অবস্থিত।


শহীদি মসজিদ কিশোরগঞ্জ
শহীদি মসজিদ, কিশোরগঞ্জ - www.islamiblogbd.com


আরো তিনটি মসজিদের ছবি বাংলাদেশ

মসজিদের ছবি বাংলাদেশ এই পর্যায়ে ১৬ নম্বরে আছে চাটমোহর শাহী মসজিদ পাবনা।বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও প্রাচীন মসজিদ। মাত্র ২০০গজ দূরে অবস্থিত উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে। একসময় মসজিদটি ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়েছিলো। ১৯৮০সালে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটিকে পুনরায় নির্মান করে।একসময় এই চাটমোহর ছিলো মোগল ও পাঠানদের অবাধ বিচরণ ভুমি। এই মসজিদে একটি ফরাসী শিলালিপি ছিলো যা বর্তমানে বরেন্দ্র জাদুঘরে রক্ষিত আছে।


চাটমোহর শাহী মসজিদ
চাটমোহর শাহী মসজিদ, পাবনা - www.islamiblogbd.com


আরো একটি মসজিদ আছে যার নাম মিঠাপুকুর বড় মসজিদ, রংপুর। মসজিদের ছবি বাংলাদেশ এ এর অবস্থান ১৭তম।এটি রংপুর এর মিঠাপুকুরে অবস্থিত। অনেকে একে তিন কাতারের মসজিদ নামেও ডেকে থাকে। সম্ভবতঃ এটি রংপুরের প্রাচীন মসজিদ।এটি এক প্রত্নতান্ত্রিক স্থাপনা। যা দেখভালের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশের পুরাকীর্তি বিভাগ।জনশ্রুতি আছে মোগল আমলের শেষ দিকে এটি নির্মান করা হয়।


মিঠাপুকুর বড় মসজিদ
মিঠাপুকুর বড় মসজিদ, রংপুর - www.islamiblogbd.com


মসজিদের ছবি বাংলাদেশ এ সবচেয়ে শেষের টি হলো আমাদের প্রিয় তারা মসজিদ। অপরুপ সৌন্দর্য্য মন্ডিত তারা মসজিদ।নীল রঙের তারা খচিত।মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত এই নয়নাভিরাম মসজিদটি। তারা মসজিদ সম্পর্কে জাননু।

এছাড়াও বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন মসজিদ। সরকারী ও ব্যক্তি অর্থায়নে নির্মিত হাজারো মসজিদ।যেগুলো দেখতে যেমন নয়নাভিরাম, সৌন্দর্য্য মন্ডিত। ্তেমনি আছে প্রত্নতাত্ত্বিক মর্যাদা আছে অত্যাধুনিক সুবিধা ও নির্মান শৈলী।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ (islami university mosque)


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে যখন আযান ভেসে আসে তখন পূর্ব আকাশে উদীয়মান সূর্যের আলোর উদ্ভাসিত করার পূর্বক্ষণ। কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিনের সুমধুর কন্ঠে ভেসে আসে আযানের ধব্বনি।

অনেক দূর থেকে আকাশছোঁয়া সবুজ গাছপালার মাথা ভেদ করে উঁকি দেয় আকাশের সাথে মিশে থাকা সুউচ্চ গম্বুজ। 

দৃষ্টিনন্দন আকর্ষণীয় স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন হয়ে থাকবে হাজার বছর। আলো ছড়াবে যুগ যুগ ধরে। থাকবে এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ এর বিবরণঃ 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ মীর মোশারফ হোসেন একাডেমিক ভবন ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের মাঝখানে অবস্থিত। এই মসজিদটি চারতলা বিশিষ্ট। মসজিদটির বর্গকৃতি ২.২৫ হেক্টর  জায়গা জুড়ে অবস্থিত। 

এ কেন্দ্রীয় মসজিদটি সিরামিক ও কনক্রিট  দিয়ে তৈরি। এই মসজিদে ছোট বড় মোট ১৪ টি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদে মাঝখান বরাবর ছাদের উপরে গম্বুজ এর উচ্চতা ৩৬.৫০ মিটার। 

মসজিদে চার কোণায় চারটি ২০০ ফুট উঁচু মিনার রয়েছে। এই মসজিদে প্রবেশ করার জন্য তিনটি দরজা রয়েছে । ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ ভিত্তিক ক্যাম্পাস গড়ার পরিকল্পনা হিসেবে,বিভিন্ন অনুষদ ভবন থেকে ১৫ ফুট প্রস্থের করিডোর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

এই চারতলা বিশিষ্ট মসজিদের নিচ তলার আয়তন ৪ হাজার ৭৭১বর্গ মিটার।এই মসজিদে রয়েছে ইসলামিক গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, ইসলামিক ব্যাংক ও বিশ্ব বিদ্যালয় প্রেস।  

মসজিদে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় মোট আয়তন ৭ হাজার ১০০ বর্গমিটার। দ্বিতীয় তলার ৩ হাজার ১০০জন, তৃতীয় তলায় ৮০০ জন ও চতুর্থ তলায় ২ হাজার ৩০০ জন। এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে মোট ৬ হাজার ২০০ জন মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন।

মুসল্লির চাহিদা মিটানোর জন্য ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিরামিক ও ইট দ্বারা সুন্দর মসজিদ স্থাপন করা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মসজিদটি স্থাপন করতে ১ লক্ষ ১ হাজার ১২৫ বর্গফুট জায়গা লেগেছে। 

এই মসজিদে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদের নামাজের জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও দেশের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ। 

এই মসজিদটিতে ৬ হাজার ২০০ ও ঈদের নামাজের জন্য ১০ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। ঈদের জামাতের মাঠসহ এই কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটিতে মোট ১৬ হাজারের ও বেশি মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন। 

১৯৯৪ সালে এই কেন্দ্রীয় মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উপরোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী এ মসজিদটির সম্পূর্ণ কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। সরকারি তৎকালীন অর্থায়নে এই ভিত্তিপ্রস্থর কাজের উদ্বোধন করা হয় । এই মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিন্ন ভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হওয়ায় মসজিদটি কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ স্থাপনে খরচঃ

এই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইসলামীক পাঠাগার নিমার্ণ বাবদ মোট ব্যায় ধরা হয়েছিলো ২ হাজার ৬৮৯ (৩.৩৬১ মিলিয়ন ইউ এস ডলার) লাখ টাকা। মোট ৪৮০ (০.৮৩ মিলিয়ন ইউ এস ডলার) লাখ টাকা ব্যয়ে বর্তমান কাজ হয়েছে ৩৬ শতাংশ। 

এখনো বাকী ৬৪ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করতে প্রয়োজন ৪ হাজার ৫০৬ (৫.৬১৬ মিলিয়ন ইউ এস ডলার) লাখ টাকা। মসজিদটি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১০ বছর পর ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ হলে ২০০৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী জনাব মোশারফ হোসেন শাহজাহান উদ্বোধনের মাধ্যমে নামাজের জন্য মসজিদটি উন্মুক্ত করে দেন। 

দীর্ঘ ১৩ বছট ধরে মসজিদটি উন্নয়ন করা যাচ্ছিল না,হারাতে বসেছিল এই অপরূপ সৌন্দর্য কারুকার্য। দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে মসজিদটি পূরিপূর্ণ রূপ । 

আরো পড়ুন ঃ 

বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারি অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণা ধমী, শিক্ষা কার্যক্রম, আবাসিক সুবিধা নিশ্চিতকরন, বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। 

২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর মসজিদের সম্প্রাসরন কাজের উদ্বোধন করেন। এই মসজিদটির জন্য বরাদ্দ হয়েছিলো ৪ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। 

মসজিদের মাঝখানে পূর্বদিকে বায়তুল মোকাররাম মসজিদের ন্যায় চওড়া সিঁড়ি ও তৈরি হবে। এ মসজিদটির ৪ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার ১৫ শতাংশ সম্পূর্ণ হবে এবং ১৫ শতাংশ কাজ শেষ হবে ২০১৯ সালের জুন মাসে নাগাদ।

দীর্ঘদিন যাবৎ মসজিদের কাজটি বন্ধ ছিল। বর্তমান প্রশাসন ইতিমধ্যে প্রায় ৫ কোটি টাকা টেন্ডার নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। বাকি কাজগুলো করার জন্য আমরা ৪০ কোটি টাকা ' কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ ' কমিটি বরাবর আবেদন করেছি । 

সেই কমিটির সাথে আমাদের প্রতিদিন যোগাযোগ হয়,আশা করা যাচ্ছে তারা আমাদেরকে সাহায্য করবে। আমরা আগামী চার বছরের মধ্যে মসজিদটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দেখতে পারবো।

উপচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, মসজিদের মূল নকশার কাজ পরিপূর্ণ হলে, এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি বাংলাদেশের তথা বিশ্বের সবচেয়ে অন্যতম সেরা মসজিদ রূপান্তরিত হবে। 

ইসলামী নিউজ - ঢাকা বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নতুন ভবন উদ্বোধন (islami news)

বনানী মসজিদের নতুন ভবন উদ্বোধন


ঢাকা বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ দীর্ঘ তিন বছর পর নতুন ভবনটি উদ্বোধন করা হয়েছে।

২০১৯ সালে এই মসজিদটির নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

বনানীর কেন্দ্রীয় মসজিদের প্রধান খাদেম সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবাল এবং ৩১ বিশিষ্ট খাদেম কমিটির উদ্যোগে সার্বিক সহযোগিতায় এই মসজিদের নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। 

শুক্রবারে দুপুরে জুম্মার নামাজ পড়ে মসজিদে উদ্বোধন ফলক উম্মেচিত করেন।

এ সময় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের যুব সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ধর্ম বিষারক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থানীয় কমিটির সভাপতি বি এইচ হারুন, ঢাকা উত্তর সিটি করর্পোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুহাইলান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুীদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম মজুমদার, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ মেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মোঃ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর সাবেক মহাপরিচালক মোল্লা ফজলে আকবর, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, বনানী সোসাইটির সভাপতি শওকত আলী ভূঁইয়া দিলন, কুতুববাগ দরবারের শরীফের পীর আলহাজ্ব মাওলানা হযরত সৈয়দ জাকির শাহ নকশবন্দি মোজোদ্দেদি কুতুববাগীসহ প্রমূখ। 

আরো পড়ুনঃ 

ইসলামী সংবাদ - মাইকে আযানের অনুমতি

জুম্মার নামাজ শুরু হবার আগে অতিথিদের বক্তব্য দেবার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রধান খাদেম বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.এইচ বি ইকবাল।তিনি বলেন, আজকে এই নতুন জামে মসজিদের প্রথম জুম্মার নামাজ আদায় করা সম্ভব হলো, তিনি আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।তিনি এই মসজিদ নির্মাণের দীর্ঘ প্রচেষ্টা, সাধনা, ব্যক্তিগত ও একান্ত আগ্রহ এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতিষ্ঠার কথা তিনি উল্লেখ করেন। 

মসজিদ আল্লাহর ঘর, একটি ইবাদতের জায়গা।মহল্লার মুসল্লিরা মসজিদে এসে সুন্দর পরিবেশেে নামাজ আদায় করতে পারে এবং প্রত্যেক মুসল্লির অন্তরের ভিতরে প্রশান্তি তৈরি করে দেন মহান আল্লাহতালা। 

প্রত্যেক মুসল্লি নিজেদের ভুল - ত্রুটির মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার সাথে সত্য কথা ও ন্যায় পথে চলার তৌফিক দান করেন মহান আল্লাহ তাআলা। 

প্রথম জুম্মার নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।  

জুম্মার নামাজ শেষে তিনি, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি দেশ- জাতি,বিশ্ব মুসলিম শান্তি ও কল্যাণে কামনা করে দোয়া করেন। 

নামাজের বয়ায়নের এর আগে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মুসল্লিতে পূর্ণ হয়ে যায়। 

বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি মেজনাইন ফ্লোরসহ সাত তলা বিশিষ্ট।এই মসজিদে পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক অজুখানা ও নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। আলাদা করে বয়স্কদের নামাজের ব্যবস্থা ও করেছেন ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

জামে মসজিদের টপ ফ্লোরে রয়েছে ইসলামিক লাইব্রেরী।করোনাকালীন প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে দীর্ঘ তিন বছরের প্রচেষ্টায় বর্তমানে নির্মিত কাজটি সম্পন্ন হয়েছে এই শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত সাত তলা মসজিদ। 

দৃষ্টিনন্দন নির্মাণ শৈলীর মসজিদে দু'টি বেজ মেন্ট আছে। 

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ( Islamic Foundation of Bangladesh )

 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা ইসলামী আদর্শ ও মুল্য বোধ প্রচার করে থাকে।সেই সম্পর্কিত কার্যক্রম  পরিচালনা করে থাকে।

এই দেশের তথা বাংলাদেশের সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। ৬৪ জেলাতেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শাখা রয়েছে।

যার প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত। এর আটটি বিভাগীয় কার্যালয়ও রয়েছে।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে আছে সাতটি ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আরো আছে ২৯টি ইসলামিক প্রচারণা কেন্দ্র।ফাউন্ডেশনের প্রধানকে বলা হয় মহাপরিচালক।

কত সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়

বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ।এর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম।ইসলামের প্রচার ও প্রসারে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মজিবর রহমান এটি প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭৫ সালের ২২শে মার্চ এক অধ্যাদেশবলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। শেখ মজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশন সুচনা লগ্ন থেকে শুরু করে বর্তমান অবধি সরকারী অর্থে পরিচালিত হয়ে আসছে।

বর্তমানে এটি মুসলিম বিশ্বের একটি অন্যতম বৃহৎ সংস্থা হিসাবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে।যে কারণে বিদেশী রাষ্ট্র ও সংস্থা থেকে অনে অনুদান পেয়ে থাকে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাঠামো 

এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্য্যলয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত।এই প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় কার্য্যলয়ে ১৭টি বিভাগ, ৭টি প্রকল্প ও লাইব্রেরী রয়েছে।বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতে এর শাখা রয়েছে।

এমনকি প্রতিটি বিভাগে রয়েছে বিভাগীয় কার্য্যলয়।এছাড়াও দেশে ও বিদেশে আর্থ মানবতার সেবার জন্য ৫০টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র রয়েছ।

আরো আছে ৭টি ইমাম প্রশিক্ষন কেন্দ্র। আর এই সকল প্রতিষ্ঠান ও শাখা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ইসলামী মুল্যবোধের লালন ও চর্চা করে আসছে।

islamic foundation bangladesh - www.islamiblogbd.com

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পরিষদ

প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য রয়েছে সুপ্রতিষ্ঠিত সাংগঠনিক কাঠামো। এই ফাউন্ডেশনের বোর্ড ও গভর্নরসের প্রধান হচ্ছে পদাধিকার বলে মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী। 

আরো আছে রাজস্ব খাত ও উন্নয়ন খাত মিলিয়ে ২৩১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। সন্মানী ভাতার ভিত্তিতে আছে আরো ৭১,১৮৫ জন জনবল।(সুত্রঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

আরো পড়ুনঃইসলামিক স্ট্যাটাস পিকচার (islamic status picture)

ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত হয় সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন পরিচালক দ্বারা। যার উপর ন্যস্ত দ্বায়িত্ব হলো বোর্ড অব গর্ভনরসের সিদ্ধান্ত সমুহ ব্যস্তবায়ন করা। 

তিনি সচিব পদমর্যাদার কেউ এবং প্রেষনে নিযুক্ত প্রাপ্ত। আরো আছে ১৭জন পরিচালক। ৭জন প্রকল্প পরিচালক ও লাইব্রেরী পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সেবা সমুহ

১।মসজিদ ও ইসলামি কেন্দ্র, একাডেমী ও ইনষ্টিটিউটের প্রতিষ্ঠা করা ও সেগুলো রক্ষণাবেক্ষনের দ্বায়িত্ব পালন করা।

২।বিভিন্ন সমাজ সেবা মুলক ধর্মীয় সংগঠন সমুহকে আর্থিক সহায়তা প্রদান।

৩।ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামের অবদান বিষয়ক গবেষনা পরিচালনা করা।

৪।ইসলামী মুল্যবোধ ও ইসলাম বিষয়ক বই পুস্তক, পত্রিকা ও সাময়িকী ইত্যাদি প্রকাশ ও প্রচার করা।

৫।ইসলামের ইতিহাস, দর্শন, সংস্কৃতি, আইন ও বিচার ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের আয়োজন করা। যেমনঃ বক্তব্য মালা, বির্তক, সেমিনার ও সিম্প্রোজিয়ামের আয়োজন করা।

৬।ইসলামিক বিষয়ে অবদানের জন্য পুরস্কার ও পদক দেওয়া।

৭।ইসলামিক বিষয়ে অবদানের জন্য পুরস্কার ও পদক দেওয়া।

৮।বায়তুল মোকাররম মসজিদের ব্যবস্থাপনা ও উন্নতি বিধান করা।

বাংলাদেশ তথা মুসলিম বিশ্বে ইসলামী আর্দশ প্রচার প্রসার কার্যক্রমের পরিচালনা করা ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন গুরুত্ব পুর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।