চীনের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলিমদের দাস বানানোর অভিযোগ (Uighur Muslims)



চীনে তুলা চাষ বেশ জনপ্রিয়।আর এই কাজে উইঘুর মুসলিম জনসংখ্যাকে জোর পুর্বক ব্যবহারে অভিযোগ উঠেছে এশিয়া শক্তিধর দেশ চীনের বিরুদ্ধে।

অবশ্য চীন এখন পর্যন্ত এ ব্যপারে তাদের নিরব ভুমিকা পালন করছে অথাৎ চীন কোন মন্তব্য করেনাই।

এ দিকে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা চীন কে মধ্যযুগে নিয়ে যাচ্ছে।

কারন শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের দিয়ে আরা  দাসত্ব করাচ্ছেন। চীন অবশ্য এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।

এই অভিযোগ সামনে আসার পর চীনে সাথে সাথে আঙুল উঠেছে বিশ্বের প্রথম সারির কয়েকটি জুতো ও পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থার দিকেও।

সেন্টার ফর গ্লোবাল পলিসি নামক একটি আমেরিকার স্বনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন । প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার উইঘুর মুসলিমকে জোর করে তুলা চাষে বাধ্য করা হয়েছিল। তাদেরকে ইসলামী বিধিবিধান পালন থেকে ও কুরআন হাদীস পড়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করেন। 

তাদের দিয়ে বল প্রয়োগ করে কাজ করানো হতো। তবে যে কায়দায় তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা আধুনিক আর্ন্তজাতিক শ্রমিক অধিকারের পরিপন্থী। 

প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, তাদের সাথে মূলত দাসের মতো ব্যবহার করা হয়েছিল।

শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের সাথে চীন প্রশাসনের এমন আচরণ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।এই ব্যপারে অনেক দিন ধরেই  সরব অনেক মানবধিকার সংস্থা। 

জাতিসঙ্ঘেও এ ব্যাপারে চীনকে বার বার সর্তক করা হয়েছে। সম্প্রতি জার্মানির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ব্যাপারে চীনের কঠোর সমালোচনা করে। তবে দাসত্বের মত মানবতা বিরোধী বিষয়টি এবারই সামনে এলো।

শিনজিয়া প্রদেশ তুলা উৎপাদনের দুনিয়া জোড়া খ্যাতি ছড়িয়েছেন। গোটা বিশ্বের ২০ শতাংশ তুলা উৎপাদন হয় এই প্রদেশটিতে। চীন এই তুলা রফতানি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।

 শিনজিয়াং প্রদেশের তুলা কিনে নেয় সারা দুনিয়াতে নামকরা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস, নাইকে ও গ্যাপের মতো সংস্থাগুলো। 

মানবাধীকার সংস্থা গুলো উপরোক্ত ব্যনিজিক প্রাতিষ্ঠান গুলোর বিরুধে মারাত্মক অভিযোগ করেছ।

ওই সংস্থাগুলো এসব ব্যাপারে জেনেও চীনের কাছ থেকে তুলা কিনছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করা উচিত।

মিউনিখে অবস্থিত উইঘুর মুসলিম কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট (যা চীনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে উইঘুরের প্রতিনিদ্ধিত্ব করে) ইসা জানিয়েছেন, শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচার ও গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে আগেই মামলা করেছিলেন তারা। 

এ বার দাসত্ব বিষয়ক মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য নতুন করে মামলা করা হবে।

No comments:

Post a Comment