কাঁকড়া খাওয়া বিষয়ে বিধান কি? হালাল অথবা হারাম?
কাঁকড়া যারা খান তারা জানেন এটা কি সুস্বাদু। বিশেষ করে যারা সামুদ্রিক এলাকা বা সী বিচে বেড়াতে যান তারা কাঁকড়া লোভ সামলাতে পারেন কি?
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষতিকর, হিংস্র প্রাণী ও যা খেলে মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটে তা ব্যতীত সমস্ত সামুদ্রিক প্রাণী-ই খাওয়া হালাল।
সুতরাং এ কারনে কাঁকড়াও হালাল প্রাণীর অন্তর্ভূক্ত এবং তা খাওয়া হালাল।
আর যে সুরার কারনে বেশীর ভাগ ফকিহগন কাঁকড়া খাওয়া হালাল বলেছেন, তাহলো সুরা মায়িদাহ এর ৯৬ নং আয়াত।
সেখানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন - সমুদের শিকার ও তা ভক্ষণ তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছ, তোমাদের আর সফরকারীদের ভোগের জন্য। (Ref: Al Qur'an Bangla Android App)
হাদীসের প্রমানঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন:
“নদী বা সাগরের পানি পবিত্র, এবং পানিতে বসবাসকারী মৃত প্রাণীও খাওয়া বৈধ।” (তিরমিযী ৬৯, আবু দাউদ ৮৩)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবী শুরাইহ বলেন; পানিতে বসবাসকারী সমস্ত প্রাণী খাওয়া বৈধ।” (বুখারী ৫/২০৯১)
তাছাড়া ইসলামের একটি অন্যতম মূলনীতি হল, দুনিয়াবি সকল বস্তুই বৈধ যতক্ষণ না ইসলামে সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায়। আর কাঁকড়া খাওয়ার ব্যাপারে কুরআন-সুন্নায় নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায় না।
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা থেকে এ কথা প্রতীয়মান হল যে, উপরোক্ত সামুদ্রিক প্রাণী বৈধতার ব্যাপারে কোন বাধা নেই।
এগুলোকে মাকরূহ বলাও প্রমাণ সাপেক্ষ নয়। তবে কারও যদি তা খেতে রুচি না হয় তবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এগুলোকে হারাম বা মাকরূহ বলার কোন যৗক্তিকতা নাই।
No comments:
Post a Comment