ইউরোপের আধুনিক সভ্য দেশ অস্ট্রিয়া (Austria)। এই উন্নত দেশে এতদিন হিজাব পরে মুসলিম ছাত্রীদের স্কুলে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল অস্ট্রিয়া সরকার।
গত শুক্রবার সেই নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে হিজাব ও স্কার্ফে অনুমোদন দিল দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
উল্লেখ্য করা যেতে পারে, ইউরোপের এই দেশটির চ্যান্সেলর বা প্রধানমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান কুর্জ কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী রাজনীতি করেন।
তার ঐকান্তিক ইচ্ছা ও কঠোর নির্দেশেই গতবছর মে মাসে স্কুলপড়ুয়া মুসলিম ছাত্রীদের মাথায় হিজাব বা স্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ হয়।
সেই আইন (যাহা মুসলিমদের কাছে ছিল কালো আইন) বাতিল করে আদালত। এই আদালত স্পষ্ট বলেছে, মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করতেই তাদের পোশাক বিধিকে টার্গেট করে এই নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বৈষম্যে ব্যক্তিস্বাধীনতা পরিপন্থি ও পড়ুয়াদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তাই নির্বাচিত সরকারের উচিত ধর্মীয় ক্ষেত্রে সাম্যের অধিকার সুনিশ্চিত করা। আধুনিক প্রগতিশীল দেশ হিসাবে সেই দেশটির সংবিধান সব ধর্মকে স্বীকৃতি এবং স্বাধীনভাবে ধর্মীয় অনুশীলনের অধিকার দিয়েছে।
এখানে স্মরন করে দিতে চাই, ৩৪ বছর বয়সি অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কুর্জ যখন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, ঠিক তার কয়েকদিন পরেই তার সরকারের পতন ঘটে।
মাত্র দেড় বছর সময় তার সরকার ক্ষমতায় ছিলেন। মাঝে কিছুদিন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পর ফের চলতিবছর ৭ জানুয়ারি মিলিজুলি সরকার গড়েন তিনি।
এদিকে আদালতের রুলিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের প্রতিক্রিয়া হল, রাজনৈতিক ইসলাম থেকে মুসলিম মেয়েদের সুরক্ষার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছিল।
তাই ৮ শতাংশের বেশী মুসলিম জনসংখ্যার দেশে শালীন পোশাক হিসেবে হিজাবের অধিকার ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন অভিভাবক।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন অস্ট্রিয়ার সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত।এই আদালত হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দিল।
উল্লেখ্য, দেশটির জনসংখ্যা ৯০ লক্ষ ৭ হাজারের মতো। এর মধ্যে মুসলিম প্রায় ৭ লক্ষ মতো।
ইউরোপে যেসব দেশে হিজাব পড়া নিষিদ্ধঃ
- ফ্রান্স
- বেলজিয়াম
- নেদারল্যান্ড
- স্পেন
- জার্মানী
- ইতালী
No comments:
Post a Comment