হেফাজতে ইসলামের নতুন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব (Hefazat-e-Islam)


হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সদ্য প্রয়াত মহাসচিবের মৃত্যুতে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনোনীত হয়েছেন মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী।বর্তমান কমিটিতে তিনি সিনিয়র নায়েবে আমিরের দায়িত্বে ছিলেন।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

নতুন মহাসচিবের নিয়োগের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটির পরিধি বাড়ানো হয়েছে, সেই সঙ্গে সিনিয়র নায়েবে আমিরের পদে আনা হয়েছে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীকে। 

তিনি এতদিন নায়েবে আমির ছিলেন। ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা মহানগর ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারির নামও।

মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে সভাপতি ও মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হককে সেক্রেটারী করে ঢাকা মহানগর কমিটি এবং মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলামকে (পীর সাহেব ফিরোজশাহ) সভাপতি ও মাওলানা লোকমান হাকীমকে সেক্রেটারী করে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ঘোষাণা করা হয়।

চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর ১৫ নভেম্বর হেফাজতের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আমির নির্বাচিত হন। 

সেই সঙ্গে নতুন মহাসচিব নির্বাচিত হন বারিধারা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

হেফাজতের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার ২৮ দিনের মাথায় ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। ফলে মহাসচিব পদটি শূন্য হয়। 

শনিবার আল্লামা কাসেমীর মৃত্যু ১৩ দিন পর নতুন মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হলো মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদীকে।

মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল। এ ছাড়া বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি, হাইয়াতুল উলইয়ার সদস্য এবং তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মাওলানা মামুনুল হক - মাহফিলে যোগদানে বাধা দিল প্রশাসন (Mamunul haqe)

১৫ নভেম্বর হেফাজতের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে আলোচনা শেষে কয়েকটি পদ ফাঁকা রেখে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৩ ডিসেম্বর হাটহাজারী মাদরাসায় আমিরে হেফাজতের কার্যালয়ে এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে হেফাজতের প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন

  • উপদেষ্টা আল্লামা নোমান ফয়জী, 
  • নায়েবে আমির মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম, 
  • মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, 
  • মুফতি জসিম উদ্দিন, 
  • যুগ্ন-মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, 
  • মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা লোকমান হাকিম, 
  • মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির, 
  • মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী, 
  • মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, 
  • মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, 
  • সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, 
  • অর্থ সম্পাদক মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী, 
  • প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, 
  • সহকারী অর্থ সম্পাদক হাফেয মুহাম্মদ ফয়সাল 
  • আলহাজ্ব মুহাম্মদ আহসানুল্লাহ প্রমুখ।

২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর হাতেগড়া সংগঠনটির জন্মলগ্ন থেকে আমির ছিলেন তিনি। মহাসচিব ছিলেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

জাপানে জুয়ার আসর ভেঙ্গে নির্মিত হচ্ছে সবচেয়ে বড় মসজিদ (japan)

largest mosque


বড় জুয়ার আসর ছিলো জাপানে যা ভেঙে তৈরী করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ও দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স।


জনপ্রিয় এই জুয়ার আসর এবং বিউটিফুল ভবন সহ জায়গাটি ক্রয় করতে প্রায় ১৮০,০০০,০০০ জাপানি ইয়েন বা ১৬ লাখ ৬২ হাজার মার্কিন ডলার মতো খরচ হয়েছে।


জাপানের মেগা সিটি টোকিও এর ঠিক গা ঘেঁষেই সাইতামা প্রিপেকচারের কোশিগায়া শহরের গামো স্টেশন এলাকায় এটি নির্মিত হচ্ছে।


এখানে একসঙ্গে সর্বসাকুল্যে প্রায় ২ হাজার লোক নামাজ আদায় করতে পারবে।


গামো স্টেশন থেকে মাত্র ১০ মিনিটের হাঁটার দূরত্বে অত্যাধুনিক এই মসজিদ কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম অতি তাড়াতাড়ি শুরু হচ্ছে। আর দখল করে নিচ্ছে জাপানের বিশাল আয়তনের মসজিদের স্থান।


দেড় হাজার স্কয়ার মিটার আয়তনের এই বিশাল সুস্বজ্জিত কমপ্লেক্সটি কার্যক্রম শুরু হলে এটি হবে জাপানের সবচেয়ে মসজিদ কমপ্লেক্স।


মসজিদটির নাম দেওয়া হয়েছে আরবী নাম অনুসারে ‘বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্স’। শিগগিরই বিশাল এ মসজিদটির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।


এই মসজিদে যা যা  থাকছে শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা, আগত অতিথিদের আবাসন ও ইসলামি সংস্কৃতি বিনিময়ে জন্য ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ও ইসলামের প্রচার এবং প্রসারের জন্য দাওয়াতি বিভাগ। 


দুনিয়ার সকল প্রান্তের সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ বিশেষ করে যারা জাপানে বাস করে তারা ২৪ ঘন্টা ইসলামি সংস্কৃতি ও মুল্যবোধ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবে। এখানে থাকবে অসংখ্য গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিশাল কার স্টেশন।


সূত্র: ইমান২৪.কম

কাঁকড়া খাওয়া কি হালাল?(Is it halal to eat crabs?)



কাঁকড়া খাওয়া বিষয়ে বিধান কি? হালাল অথবা হারাম?

কাঁকড়া যারা খান তারা জানেন এটা কি সুস্বাদু। বিশেষ করে যারা সামুদ্রিক এলাকা বা সী বিচে বেড়াতে যান তারা কাঁকড়া লোভ সামলাতে পারেন কি? 

ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষতিকর, হিংস্র প্রাণী ও যা খেলে মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটে তা ব্যতীত সমস্ত সামুদ্রিক প্রাণী-ই খাওয়া হালাল। 

সুতরাং এ কারনে কাঁকড়াও হালাল প্রাণীর অন্তর্ভূক্ত এবং তা খাওয়া হালাল।

আর যে সুরার কারনে বেশীর ভাগ ফকিহগন কাঁকড়া খাওয়া হালাল বলেছেন, তাহলো সুরা মায়িদাহ এর ৯৬ নং আয়াত। 

সেখানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন - সমুদের শিকার ও তা ভক্ষণ তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছ, তোমাদের আর সফরকারীদের ভোগের জন্য। (Ref: Al Qur'an Bangla Android App)


হাদীসের প্রমানঃ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন:

“নদী বা সাগরের পানি পবিত্র, এবং পানিতে বসবাসকারী মৃত প্রাণীও খাওয়া বৈধ।” (তিরমিযী ৬৯, আবু দাউদ ৮৩)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবী শুরাইহ বলেন; পানিতে বসবাসকারী সমস্ত প্রাণী খাওয়া বৈধ।” (বুখারী ৫/২০৯১)

তাছাড়া ইসলামের একটি অন্যতম মূলনীতি হল, দুনিয়াবি সকল বস্তুই বৈধ যতক্ষণ না ইসলামে সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায়। আর কাঁকড়া খাওয়ার ব্যাপারে কুরআন-সুন্নায় নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায় না।

সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা থেকে এ কথা প্রতীয়মান হল যে, উপরোক্ত সামুদ্রিক প্রাণী বৈধতার ব্যাপারে কোন বাধা নেই।

এগুলোকে মাকরূহ বলাও প্রমাণ সাপেক্ষ নয়। তবে কারও যদি তা খেতে রুচি না হয় তবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এগুলোকে হারাম বা মাকরূহ বলার কোন যৗক্তিকতা নাই।

এ ব্যাপারে স্কলারের মন্তব্য দেখে আসিঃ

চীনের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলিমদের দাস বানানোর অভিযোগ (Uighur Muslims)



চীনে তুলা চাষ বেশ জনপ্রিয়।আর এই কাজে উইঘুর মুসলিম জনসংখ্যাকে জোর পুর্বক ব্যবহারে অভিযোগ উঠেছে এশিয়া শক্তিধর দেশ চীনের বিরুদ্ধে।

অবশ্য চীন এখন পর্যন্ত এ ব্যপারে তাদের নিরব ভুমিকা পালন করছে অথাৎ চীন কোন মন্তব্য করেনাই।

এ দিকে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা চীন কে মধ্যযুগে নিয়ে যাচ্ছে।

কারন শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের দিয়ে আরা  দাসত্ব করাচ্ছেন। চীন অবশ্য এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।

এই অভিযোগ সামনে আসার পর চীনে সাথে সাথে আঙুল উঠেছে বিশ্বের প্রথম সারির কয়েকটি জুতো ও পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থার দিকেও।

সেন্টার ফর গ্লোবাল পলিসি নামক একটি আমেরিকার স্বনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন । প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার উইঘুর মুসলিমকে জোর করে তুলা চাষে বাধ্য করা হয়েছিল। তাদেরকে ইসলামী বিধিবিধান পালন থেকে ও কুরআন হাদীস পড়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করেন। 

তাদের দিয়ে বল প্রয়োগ করে কাজ করানো হতো। তবে যে কায়দায় তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা আধুনিক আর্ন্তজাতিক শ্রমিক অধিকারের পরিপন্থী। 

প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, তাদের সাথে মূলত দাসের মতো ব্যবহার করা হয়েছিল।

শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের সাথে চীন প্রশাসনের এমন আচরণ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।এই ব্যপারে অনেক দিন ধরেই  সরব অনেক মানবধিকার সংস্থা। 

জাতিসঙ্ঘেও এ ব্যাপারে চীনকে বার বার সর্তক করা হয়েছে। সম্প্রতি জার্মানির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ব্যাপারে চীনের কঠোর সমালোচনা করে। তবে দাসত্বের মত মানবতা বিরোধী বিষয়টি এবারই সামনে এলো।

শিনজিয়া প্রদেশ তুলা উৎপাদনের দুনিয়া জোড়া খ্যাতি ছড়িয়েছেন। গোটা বিশ্বের ২০ শতাংশ তুলা উৎপাদন হয় এই প্রদেশটিতে। চীন এই তুলা রফতানি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।

 শিনজিয়াং প্রদেশের তুলা কিনে নেয় সারা দুনিয়াতে নামকরা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস, নাইকে ও গ্যাপের মতো সংস্থাগুলো। 

মানবাধীকার সংস্থা গুলো উপরোক্ত ব্যনিজিক প্রাতিষ্ঠান গুলোর বিরুধে মারাত্মক অভিযোগ করেছ।

ওই সংস্থাগুলো এসব ব্যাপারে জেনেও চীনের কাছ থেকে তুলা কিনছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করা উচিত।

মিউনিখে অবস্থিত উইঘুর মুসলিম কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট (যা চীনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে উইঘুরের প্রতিনিদ্ধিত্ব করে) ইসা জানিয়েছেন, শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচার ও গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে আগেই মামলা করেছিলেন তারা। 

এ বার দাসত্ব বিষয়ক মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য নতুন করে মামলা করা হবে।

অস্ট্রিয়া সরকার মুসলিম মেয়েদের স্কুলে হিজাব পড়ার অনুমতি দিয়েছেন। (Austria)



ইউরোপের আধুনিক সভ্য দেশ অস্ট্রিয়া (Austria)। এই উন্নত দেশে এতদিন হিজাব পরে মুসলিম ছাত্রীদের স্কুলে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল অস্ট্রিয়া সরকার।

গত শুক্রবার সেই নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে হিজাব ও স্কার্ফে অনুমোদন দিল দেশটির সাংবিধানিক আদালত। 

উল্লেখ্য করা যেতে পারে, ইউরোপের এই দেশটির চ্যান্সেলর বা প্রধানমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান কুর্জ কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী রাজনীতি করেন। 

তার ঐকান্তিক ইচ্ছা ও কঠোর নির্দেশেই গতবছর মে মাসে স্কুলপড়ুয়া মুসলিম ছাত্রীদের মাথায় হিজাব বা স্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ হয়। 

সেই আইন (যাহা মুসলিমদের কাছে ছিল কালো আইন) বাতিল করে আদালত। এই আদালত স্পষ্ট বলেছে, মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করতেই তাদের পোশাক বিধিকে টার্গেট করে এই নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বৈষম্যে ব্যক্তিস্বাধীনতা পরিপন্থি ও পড়ুয়াদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। 

তাই নির্বাচিত সরকারের উচিত ধর্মীয় ক্ষেত্রে সাম্যের অধিকার সুনিশ্চিত করা। আধুনিক প্রগতিশীল দেশ হিসাবে সেই দেশটির সংবিধান সব ধর্মকে স্বীকৃতি এবং স্বাধীনভাবে ধর্মীয় অনুশীলনের অধিকার দিয়েছে। 

তাই মুসলিমদের ফান্ডামেন্টাল রাইটস হিজাবে উপর নিষেধাজ্ঞা মুসলিম ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি করবে। রায়ে এসব কথাই লিখেছেন প্রধান বিচারক ক্রিস্টোফ গ্রাবেন ওয়ার্টার।

এখানে স্মরন করে দিতে চাই, ৩৪ বছর বয়সি অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কুর্জ যখন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, ঠিক তার কয়েকদিন পরেই তার সরকারের পতন ঘটে। 

মাত্র দেড় বছর সময় তার সরকার ক্ষমতায় ছিলেন। মাঝে কিছুদিন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পর ফের চলতিবছর ৭ জানুয়ারি মিলিজুলি সরকার গড়েন তিনি।

এদিকে আদালতের রুলিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের প্রতিক্রিয়া হল, রাজনৈতিক ইসলাম থেকে মুসলিম মেয়েদের সুরক্ষার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছিল। 

তাই ৮ শতাংশের বেশী মুসলিম জনসংখ্যার দেশে  শালীন পোশাক হিসেবে হিজাবের অধিকার ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন অভিভাবক। 

সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন অস্ট্রিয়ার সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত।এই আদালত হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দিল। 

উল্লেখ্য, দেশটির জনসংখ্যা ৯০ লক্ষ ৭ হাজারের মতো। এর মধ্যে মুসলিম প্রায় ৭ লক্ষ মতো।


ইউরোপে যেসব দেশে হিজাব পড়া নিষিদ্ধঃ

  • ফ্রান্স
  • বেলজিয়াম
  • নেদারল্যান্ড
  • স্পেন
  • জার্মানী
  • ইতালী

একটি কথা ভাবলে অবাক লাগে মুসলিম অধ্যুষিত ইস্তাম্বুলের নীল মসজিদ (blue mosque) এর দেশ তুরস্কেও এক সময় হিজাব পড়া নিষিদ্ধ ছিলো।যা অতি সম্প্রতি অসারিত হয়েছে।