কিং ফয়সাল মসজিদ (King Faisal Mosque)
ফয়সাল মসজিদ (উর্দু: فیصل مسجد) পাকিস্তানের ইসলামাবাদের মার্গলা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।শহরের শ্রেষ্ঠ দর্শনীয় স্থান এটি। এটিকে ইসলামাবাদের অন্যতম আকর্ষণও বলা যায়। মসজিদটি একটি উল্লেখযোগ্য অবকাশের স্থান এবং এটি ইসলামী স্থাপত্যের সমসাময়িক এবং আধুনিক স্থাপত্য নির্দশন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নির্মান সালঃ ১৯৬৬ সালে এই সৌধের নির্মাণকার্য শুরু হয়। ১৯৮৬ সালে মসজিদের নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ হয়।তুরস্কের পরিকল্পনাকারী বেদাত ডালোকয়ের শৈল্পিক পরিকল্পনাটি বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার পরে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
ব্যয়ঃ পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্বপুর্ণ সৌদি আরব সরকার এই নির্মাণকার্যের বেশির ভাগ অর্থ বহন করে। সৌদি আরবের রাজা শাহ ফয়সলের নামানুসারে এই মসজিদের নামকরণ হয়। আধুনিক স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শন এই মসজিদ।সৌদি বাদশাহ ফয়সাল, যার নামে মসজিদটি।তিনি মোট $ ১২০ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রদান করেন।
মসজিদের নিয়ম নীতিঃ মসজিদে ঢোকার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আছে। খালি পায়ে ঢুকতে হয় ভিতরে। মসজিদের অভ্যন্তরের ছবি তোলা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। বাইরের ছবি যত খুশি তোলা যায়।
কি কি আছে মসজিদেঃ মসজিদের মধ্যে আছে বিশাল আকারের নামাজঘর, লাইব্রেরি, কনফারেন্স হল, মিউজিয়াম এবং ক্যাফে। এ ছাড়া আছে ছোট একটি সেলস কাউন্টার। এখানে দশ হাজারেরও বেশি লোক একসঙ্গে একই জামাতে নামাজ পড়তে পারেন। তা ছাড়া মসজিদের বিশাল প্রসারিত উঠোনে আরও সত্তর থেকে পঁচাত্তর হাজার মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন। সাদা মার্বেলে তৈরি এই চত্বর। মসজিদের চার পাশে রয়েছে বিশাল ফাঁকা জায়গা এবং সবুজ মাঠ। যেখান থেকে মসজিদ পুরোপুরি দর্শন করা যায়।
বিশেষ সৌন্দর্যঃ বেদুইনদের তাঁবুর মতো দেখতে এই মসজিদ প্রায় ৫ হাজার স্কোয়ার মিটার জায়গা নিয়ে গঠিত। এটি পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব্বৃহৎ মসজিদ এবং পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মসজিদ।
No comments:
Post a Comment