অ্যাথেন্সের প্রথম মসজিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে (first mosque of Athens)



গ্রীসের রাজধানী অ্যাথেন্সের প্রথম মসজিদটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে । 

"এথেন্সে বসবাসকারী মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।"গ্রীক রাজধানীতে প্রথম মসজিদটি 14 বছরের আমলাতান্ত্রিক বিলম্বের পরে অবশেষে চালু হয়েছে।

২০১৬ সালে গ্রিসের পার্লামেন্ট রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই মসজিদটি নির্মাণের অনুমোদন দেয়৷ এরপর থেকে এর নির্মাণকাজ চলছিল৷

২০০৩ সালে প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পরে ২০০৮ সালে অ্যাথেন্সের প্রথম সরকারী মসজিদটি দক্ষিণপন্থী বিক্ষোভ এবং আইনী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল।ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে অবস্থিত একমাত্র রাজধানী ছিলো এথেন্স যেখানে মসজিদ নাই।

মসজিদের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য হায়দার আশির বলেনঃ

"গ্রীসের রাজধানী অ্যাথেন্সে বসবাসকারী 500000 মুসলিম জন্য  প্রায় ২০০বছরের মধ্যে এটি একটি স্মরনীয় ও মহামান্বিত মুহূর্ত," তবে জনসংখ্যার দিক দিয়ে মসলিম দের সংখ্যা দ্বিতীয়।

"নির্মাণের প্রাথমিক ক্ষেত্রে পদে পদে অনেক আমলাতান্ত্রিক বাধা এবং আইনী সমস্যা সন্মুখীন হতে হয়েছিল।যার কতকগুলো ছিলো সত্যি একে বারে উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

যেমন অধিকাংশ খ্রীস্টান অধুষিত দেশ হবার কারনে বিশেষ তুরক্সের সাথে ভাল সম্পর্ক নাই সেইজন জনগনের একটি অংশ মসজিদ নির্মানে বাধা দেয়।

 তবে মহান আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ। শেষ পর্যন্ত আমাদের কাছে একটি মসজিদ খোলা আছে এবং আমরা এখানে নির্দ্বিধায় নামাজ পড়তে পারি।"

প্রায় দুই শতাব্দী পর গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম মসজিদের উদ্বোধন করা হচ্ছে। শুক্রবার জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে এ মসজিদের কার্যক্রম শুরু হয়। 

তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর কারনে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো গ্রিসেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধির মধ্য দিয়ে আপাতত স্বল্পসংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতিতে এ মসজিদের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

হাদীস - সহীহ বুখারীর প্রথম ও শেষ হাদীস (Hadith - The first and last hadith of Sahih Bukhari)


হাদীস গ্রন্থের মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হচ্ছে বুখারী শরীফ। ছয় খানা বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ যাকে সিয়াসিত্তা বলা হয়।তারমধ্যে সর্ব প্রথমে যার নাম আসে সেটা হচ্চে বুখারী শরীফ।


এক নজরে বুখারী শরীফঃ

১। সহীহ বুখারী

হাদীসগুলো যিনি সংগ্রহ করেছ অর্থাৎ সংকলকের নাম: মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ইবরাহীম ইবনে মুগীরা বিন বারদিযবাহ।তিনি বুখারা নগরীতে জম্ম গ্রহন করেছিলেন বলে তার নামে বুখারী উপাদি যক্তু করা হয়। (ref- ইমাম বুখারী বাংলা উইকিপিডিয়া।)

জন্ম: ১৯৪ হিজরী

ওফাত: ২৫৬ হিজরী

জীবন কাল: ৬২ বছর

হাদীস সংখ্যা: ৭৩৯৭টি

১.‘আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরাত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।

Narrated 'Umar bin Al-Khattab:

I heard Allah's Messenger ((peace be upon him)) saying, "The reward of deeds depends upon the intentions and every person will get the reward according to what he has intended. So whoever emigrated for worldly benefits or for a woman to marry, his emigration was for what he emigrated for."


এটি একটি সহিহ ও বিখ্যাত হাদীস। সকল কাজ কোন উদেশ্য নিয়েই করা হয়ে থাকেন। আর প্রতিটি কাজের উদ্দেশ্য হচ্ছে আসল। আর আপনার অন্তরের ইচ্ছা একমাত্র আপনি আর আল্লাহ তালাহ জানেন।যেকোন আমল করতে হবে একমাত্র আল্লাহ্‌ তাআ’লাকে সন্তুষ্ট করার জন্য। দুনিয়াবি কোন লাভ, মান-সম্মান, লোকের প্রশংসা, ভালবাসা ইত্যাদির আশায় করলে সেই এবাদত গ্রহনযোগ্য হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া কোনকিছুর জন্য কোন ইবাদত করলে সেটা বাতিল বলে গন্য হবে।


বুখারী শরীফের শেষ হাদীসঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেন।দুটি কালিমা আল্লাহর কাছে খুব প্রিয়, কিন্তু পড়তে খুব সহজ, আর মীযানের পাল্লায় খুব ভারি : সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী, সুবহানাল্লাহিল আযীম।

Narrated from Abu Hurairah. He said that the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: The two words are very dear to Allaah, but very easy to read, and very heavy in the scales:

সূরা আল ফাতিহা - Surah Al-Fatihah (মক্কায় অবতীর্ণ)



সূরা আল ফাতিহা - Surah Al-Fatihah  Ayah 1

( বিছমিল্লা-হির রাহ'মা-নির রা'হীম )
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

( Bismi Allāhi Ar-Raĥmāni Ar-Raĥīmi )
In the name of Allah, Most Gracious, Most Merciful.

সূরা আল ফাতিহা













সূরা আল ফাতিহা - Surah Al-Fatihah  Ayah 2

( আল্‌ হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল 'আলামিন। ) 
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

( Al-Ĥamdu Lillāhi Rabbi Al-`Ālamīna )

Praise be to Allah, the Cherisher and Sustainer of the worlds;

Surah Al Fatihah



















সূরা আল ফাতিহা - Surah Al-Fatihah Ayah 3 and 4

( আর্‌রাহ' মা-নির রাহীম। )
যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।

( Ar-Raĥmānir-Raĥīm )
Most Gracious, Most Merciful;

( মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন )
যিনি বিচার দিনের মালিক।

( Māliki Yawmid-Dīn )
Master of the Day of Judgment.

Surah Al-Fatihah




















সূরা আল ফাতিহা - Surah Al-Fatihah - Ayah 5,6 and 7

(ইয়্যা-কা না'বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাছ্‌তা'ঈন। )
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
('Īyāka Na`budu Wa 'Īyāka Nasta`īnu)
Thee do we worship, and Thine aid we seek.


(ইহ্‌দিনাস্‌সিরা-তাল মুছ্‌তাকীম)
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
(Ihdinā Aş-Şirāţa Al-Mustaqīma)
Show us the straight way,


(সিরা-তল্লাযীনা আন্‌ আমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদুবি 'আলাহিম ওয়াল্লাদ্দ~লীন)
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
(Şirāţa Al-Ladhīna 'An`amta `Alayhim Ghayri Al-Maghđūbi `Alayhim Wa Lā Ađ-Đāllīna )
The way of those on whom Thou hast bestowed Thy Grace, those whose (portion) is not wrath, and who go not astray.

Surah Al Fatihah



















ইস্তাম্বুলের নীল মসজিদ (Blue Mosque Of Istanbul)


নীল মসজিদ বা সুলতান আহমেদ মসজিদ টি ইস্তাম্বুলের অন্যতম আদর্শিক মসজিদ।তুরস্কের ইতিহাস খ্যাত দর্শনীয় স্থান। এর ছয়টি দুর্দান্ত মিনার রয়েছে।যা নগরীর আকাশমণ্ডলের এক বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে।প্রতিদিন হাজার হাজার ট্যুরিস্ট লেন্সের মাধ্যমে এই মসজিদটি ছবি তুলে থাকেন।

হামবার্গ রাজতন্ত্রের সাথে ১৫ বছর ব্যাপী চলা যুদ্ধের সেনাদের মনোবল বাড়ানোর লক্ষ্যে সুলতান আহমেদ এই মসজিদটি নির্মান করার সিদ্ধান্ত নেয়।১৬০৯ থেকে ১৬১৬ এর মধ্যে নির্মিত সুলতান আহমেদ মসজিদটি অটোমান শক্তি পুনরায় প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য বোঝানো হয়েছিল।

পাঁচটি প্রধান গম্বুজ, ছয়টি মিনার এবং আটটি গৌণ গম্বুজ সহ নীল মসজিদটি ক্ল্যাসিকাল সময়ের সর্বশেষ দুর্দান্ত মসজিদ হিসাবে বিবেচিত হয়। আর্কিটেক্ট, সিদেফকর মেহমেদ আগা বাইজেন্টাইন খ্রিস্টান এবং এতিহ্যবাহী ইসলামী স্থাপত্য উপাদানগুলিকে এক বিশাল আকার এবং জাঁকজমকপূর্ণ কাজের জন্য একত্রিত করেছিলেন।

প্রধান স্থপতি মেহমেত আগা

স্থাপত্যবিদ্যায় তিনি অসাধারণ বুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন। অর্জন করেছিলেন অসাধারণ দক্ষতা। তিনিই সে সময় সম্রাটের মসজিদ নির্মাণের দায়িত্ব পান। 

সুলতান আহমেদ তৎকালীন স্বনামধন্য স্থপতি মেহমেত আগাকে এমনভাবে মসজিদের স্থাপনা করতে বলেন যেন সেটি সে সময়ের অন্যতম স্থাপনা আয়া সোফিয়া এবং সুলায়মান মসজিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারে। 

অনেক দিন নিরবিছিন্ন চেষ্টার পর, মেহমেত আগা মসজিদের একটি চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হলেন আর সেই পরিকল্পনাটিই দেখালেন সম্রাটকে। 

সুলতান স্থপতির স্থাপনা নিয়ে সকল পরিকল্পনা কথা শুনলেন, বিনা বাক্যে পছন্দ করলেন এবং সেইভাবে নির্মাণে সম্মতিও দিলেন।

নাম করনের ইতিহাসঃ

সুলতানের নামে এটি নাম করণ করা হলেও এটি নীল মসজিদ (Blue Mosque) হিসাবে বেশী পরিচিত।ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল শহর ইস্তাম্বুল। 

তুরস্কের দক্ষিণ-ইউরোপীয় অংশে এটি অবস্থিত। শহরটির ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে রয়েছে সুলতান আহমেদ মসজিদ। মসজিদটির ভিতরের দেয়াল নীল রঙের টাইলস দিয়ে সাজানো। 

বাইরে থেকে এই নীল রঙের ঝিলিক দেখে অনেকেই একে বলেন ‘ব্লল মস্ক’ বা নীল মসজিদ। মসজিদের ভিতরে ঢুকলে মনে হবে সমুদ্র নীল জলরাশির মাঝে এসে পড়েছেন।

মসজিদটির আয়তন ও অবস্থা এবং আশেপাশের স্থাপনাঃ

কামাল আতাতুর্ক ১৯৩৪ সালে ‘হাজিয়া সুফিয়া মসজিদ’কে জাদুঘর বানিয়ে নিলে ব্লু  মসজিদ ইস্তাম্বুলের প্রধান মসজিদে পরিণত হয়। মসজিদটিতে মুসল্লির ধারণক্ষমতা প্রায় ১০ হাজার।

যদিও অতি সম্প্রতি হায়া সুফিয়া কে এরদোগান সরকার মসজিদ হিসাবে ফিরিয়ে দিয়েছে।অথাৎ নামাজের জন্য খুলে দিয়েছে।

Blue mosque মসজিদটির দৈর্ঘ্য ২৪০ ফুট ও প্রস্থ ২১৩ ফুট। সুবিস্তৃত মসজিদ কমপ্লেক্সে আছে একটি মাদ্রাসা, একটি পান্থনিবাস এবং প্রতিষ্ঠাতার কবর। আরো আছে হলরুম এবং দেয়াল ঘেরা সুপরিসর উঠোনে আছে কয়েকটি ফোয়ারা।

সপ্তদশ শতকের এই সৌন্দর্যমণ্ডিত মসজিদ মুসলিম ঐতিহ্যের নিদর্শন হয়ে আছে। মসজিদটির কমপ্লেক্সে রয়েছে একটি মাদ্রাসা, এতিমখানা ও হলরুম। দেয়ালঘেরা সুপরিসর আঙিনায় রয়েছে কয়েকটি ফোয়ারা।

স্থাপত্যশৈলীর কারিশমা ও নির্মাণশোভা ঃ

অতিতের স্বনামখ্যাত অটোম্যান স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদটির রয়েছে প্রযুক্তিগত সৌন্দর্য যা সত্যিই দারুণ ও চিত্তাকর্ষক। এটি মুসলমানদের জন্য শুধুমাত্র একটি মসজিদ নয়। 

বরং এটি ওই অঞ্চলের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় স্থাপত্য-নিদর্শন ও পর্যটন কেন্দ্র।বছরে প্রায় অর্ধকোটি দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।

মসজিদটি তুর্কি স্থাপত্যের এক অনন্য উদাহরণ। মসজিদটির মূল একটি গম্বুজের পাশাপাশি আটটি মাধ্যমিক গম্বুজ রয়েছে। মূল গম্বুজটির উচ্চতা ৪৩ মিটার।

মসজিদের চার কোণে সুউচ্চ চারটি ও পেছনে আরো অতিরিক্ত দুইটিসহ মোট ছয়টি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মিনারগুলো দূর থেকে দেখতে পেন্সিলের মতো মনে হয়। 

প্রধান চারটি মিনারের প্রতিটিতে নির্দিষ্ট দূরত্বে তিনটি করে ব্যালকনি রয়েছে।

অপরুপ নীলের কারুকার্য সবখানে।ব্লুল মসজিদের মিনার শুধু নয়,  এর গম্বুজগুলো নীল-সাদা সীসার গাঁথুনি দ্বারা আচ্ছাদিত এবং মিনার ও গম্বুজের ওপরের ভাগের প্রতিটিতে সোনার প্রলেপযুক্ত তার উপর তামায় দিয়ে নকশাকৃত। 

মসজিদের মাঝখানের দিকের ছাদ এবং চার দিকের দেয়াল জুড়ে ২০ হাজার অত্যন্ত উঁচু মানের নীল রঙের আকর্ষণীয় টাইলস বসানো হয়েছে। এছাড়াও ব্যবহার করা হয়েছে হাতে নির্মিত ইজনিক সিরামিক টাইলস। 

প্রাচীন নিকিয়া রীতির আর্দশের বিভিন্ন কারুকাজের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পঞ্চাশটি টিউলিপ। যা মনমুগ্ধকর ডিজাইনের মাধ্যমে বেশ আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিমুগ্ধ করা হয়েছে।

Blue Mosque এর মেঝেতে উন্নতমানের দামী কার্পেট বিছানো আছে যা মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি মসজিদেই আছে। নিয়মিত সেগুলো পাল্টানো ও পরিবর্তন করা হয়।

ভেতরের পিলারগুলোতে রয়েছে আর্কষনীয় ঐতিহ্যগত নকশা এবং গ্যালারি অঞ্চলের দেয়ালগুলোতে সাইপ্রেসীয় রীতিতে বিভিন্ন রকমারী ফল ও বাহারী ফুলের  চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। 

সুলতানের প্রত্যক্ষ নির্দেশে দুনিয়া শ্রেষ্ঠতম ও অত্যন্ত মূল্যবান পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল ভেতরের সামগ্রিক কাজে।

গম্বুজের ভেতরের কিছু অংশে নীল রং করা হয়েছে। এছাড়াও অত্যন্ত নিপুণভাবে ২০০টি স্বচ্ছ কাঁচ গম্বুজটিতে ছোট জানালা-খিড়কির মতো করে স্থাপন করা হয়েছে। সেগুলো দিয়ে প্রাকৃতিক আলো ভেতরে ঢুকতে পারে।

প্রতিটি সেকেন্ডারী গম্বুজে ১৪টি করে জানালা এবং কেন্দ্রীয় গম্বুজে ২৮টি জানালা রয়েছে (৪টি নিয়মিত বন্ধ থাকে)। অনেকে ফান্ড বিভিন্ন জায়গার রাজা বাদশা উপহার পাঠিয়েছিলেন। 

তার মধ্যে জানালার রঙিন টেকসই ও সুন্দর কাঁচগুলো ভেনিসের সিগনোরিয়ার পক্ষ থেকে সুলতানকে উপহার দেয়া হয়েছিল। দীর্ঘকালের শৈল্পিকতা হ্রাস পাওয়ায় অনেকগুলোই বর্তমানে পরিবর্তন করা হয়েছে।

ভেতরের দেয়ালগুলোর উপরিভাগে বাহারি কারুকাজ ও নকশাচিত্রের পাশাপাশি কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের ক্যালিগ্রাফি রয়েছে। ক্যালিগ্রাফিগুলো তৈরি করেছেন, তৎকালীন সেরা ক্যালিগ্রাফার সাইয়িদ কাসিম গুবারি।

প্রায় ৪০০ শতাব্দী পার করার পরও এই মসজিদ আজও পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মসজিদগুলোর একটি হয়ে স্বগৌরবে দুনিয়াতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

তুরস্কের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আর্কষনীয় পর্যটন স্থান এই মসজিদটি।তবে মসজিদে প্রবেশ করতে হলে পোশাকের ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ আছে। রয়েছে কিছু জাতিগত ব্যবধান। 

যেমন মুসলিম না হলে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করা যায় না।মসজিদটি দেখতে যেসব পর্যটক যান তারা শুধু সৌন্দর্যই দেখতে যান এমনটি নয়। তারা জানতে চান এটি প্রস্তুতের পেছনের গল্পও।

মাওলানা মামুনুল হক - মাহফিলে যোগদানে বাধা দিল প্রশাসন (Mamunul haqe)


মামুনুল হক (mamunul haque)
বর্তমান বাংলাদেশের ইসলামিক আলোচকদের মধ্যে এক জনপ্রিয় নাম। তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, খেলাফল যুব মজলিশ এর সভাপতি এবং সম্প্রতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর সর্বশেষ কাওন্সিলে যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন।

তার বজ্র কন্ঠে যুব সমাজের মাঝে ঈমানি চেতনা জাগ্রত হয়। ইসলামী জীবন আচার পালনে উদ্বেল করে। ২১নভেম্বর-২০২০ মামুনুল হক (mamunul haque) মাহফিল ছিলো নড়াইল জেলায়।

লঞ্চ পাড়ি দিয়ে সেখানে যেতে হয়। প্রসাশন মাওলানা মামুনুল হক এর গাড়ী আটকাতে পুরো ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। যা নজির বিহীন। 

পরবর্তিতে ট্রলারের ব্যবস্থা করে মাহফিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নদী মধ্যবর্তী জায়গা থেকে ট্রলারও ফিরিয়ে দেয় ডিবি পুলিশ।

এমনকি মাহফিল এর মঞ্চও ভেঙ্গে দেয় প্রশাসন এবং মাহফিল এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। উল্লেখ্য যে রাজধানীর ধোলাইপাড় চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ কে কেন্দ্র করে আলেম সমাজ বাধা প্রধান করে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

মাওলানা মামুনুল হক সহ বাংলাদেশের সব শ্রেণীর উলামায়ে কেরাম যার যার অবস্থান থেকে একই দাবি জানান।

এর প্রেক্ষিতে মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলামি আন্দোলন এর নায়েবে আমির মাওলানা ফয়জুল করিম এর বিরুদ্ধে কথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামক এক সংঘটন গুটিকয়েক মানুষ নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানায়।

যদিও ফেসবুক সহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত এই মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে। ইসলামী জনতার দাবী এই সংগঠন দেশ অস্থির করার পায়তারা করছে।

কাকরাইল মসজিদ - বাংলাদেশের তাবলীগ জামাতের প্রধান কেন্দ্র (kakrail mosque - bangladesh)

 

কাকরাইল মসজিদ - বাংলাদেশ 

কাকরাইল মসজিদ


কাকরাইল মসজিদ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাকরাইল এলাকায় রমনা পার্কের পাশে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের মারকায বা প্রধান কেন্দ্র। ১৯৫২ সালে এই মসজিদটি তাবলীগ জামাতের মারকায হিসেবে নির্ধারিত হয়। মসজিদটির আদি নাম ছিল মালওয়ালি মসজিদ।

বায়তুল মোকারম - বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ। (National Mosque of Banglades)


বানলাদেশের সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি । বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ। বিশ্বের ধারন ক্ষমতার দিক থেকে ১০ম।এখানে একসাথে ৩০০০০ জন নামাজ আদায় করতে পারে।

বাদশাহী মসজিদ, লাহোর, পাকিস্তান। (Badshahi Mosque, Pakistan)

বাদশাহী মসজিদ পাকিস্তান - www.islamiblogbd.com

বাদশাহী মসজিদ পাকিস্তান 

বাদশাহী মসজিদটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের একটি মোগল যুগের মসজিদ। ওয়াল্ড সিটি লাহোরের উপকণ্ঠে মসজিদটি লাহোর দুর্গের পশ্চিমে অবস্থিত এবং বহুলভাবে লাহোরের অন্যতম প্রতীকী স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ (The World’s Most Beautiful Mosques)



বিশ্বের সেরা দশটি সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ ( The world's 10 most beautiful mosques )


মসজিদ বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের উপাসনালয় হিসাবে এক সহস্রাধিক সময়েরও বেশি সময় ধরে রয়েছে। আজ অবধি, এই পবিত্র স্থানগুলির সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস দর্শনার্থীদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে। 

আমরা সারা বিশ্ব থেকে 10 টি চমকপ্রদ মসজিদ তালিকাভুক্ত করেছি যা আপনাদের ইসলামী স্থাপনা ও এতিহ্য সম্পর্কে চিন্তা করার সুযোগ তৈরী করবে।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, মরক্কো (Hassan II Mosque)

মরক্কোর সবচেয়ে বড় এবং সুন্দর মসজিদ। সুউচ্চ গুম্বজ বিশিষ্ট মসজিদের মিনারের উচ্চতা ২১০ মিটার। বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদসমূহের মধ্যে এটি স্বনামধন্য একটি। মরক্কোর সাগর পাড়ের শহর কাসাব্ল্যাংকা'য় দ্বিতীয় হাসান মসজিদটির গর্বিত অবস্থান। 

Hassan II mosque - www.islamiblogbd.com


মসজিদটির একাংশ পানির উপর অবস্থান করছে।তাই একে ভাসমান মসজিদও বলা হয়।এটি  একটি মসজিদ মাত্র নয়। অবিশ্বাস্য সুন্দর এ স্থাপনার আশে পাশের আয়োজন এক কথায় বিস্ময়কর। 

এ মসজিদে প্রবেশের পর পর্যটকদের কিছুক্ষণের জন্য হলেও স্তব্ধ হয়ে থাকতে হয় এর বিশালতা ও বিস্ময়কর আয়োজন দেখে। এর আর্কিটেকচার, নান্দনিকতা, অলঙ্করণ, মহা মূল্যবান দ্রব্যাদি আর হাজারো রঙের ব্যবহার এবং সমন্বয়ের কাছে পৃথিবীর বড় বড় তারকাধারী হোটেল আর মহামু্ল্যবান রাজ প্রাসাদের সৌন্দর্যও ম্লান। 

মসজিদের সামনে পা রাখা মাত্র মনে হবে এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম সবচেয়ে সুন্দর কোনো প্রাসাদ বা দুর্গ। ঘোড়ার পায়ের ক্ষুরাকৃতির খিলানে মার্বেল পাথর, গ্রাইনাইট আর রঙের যে ব্যবহার করা হয়েছে তাতে এ অনুভূতি জাগে দর্শকদের মনে।

আর মসজিদের ভেতরের মেঝে, খিলন, খুঁটি, সিলিং, লাইটিং, মূল্যবান দ্রব্যাদির অলঙ্করণ, লাইটিংয়ের সাজসজ্জা মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার মতো। চোখে না দেখলে এর সৌন্দর্য বর্ণনা করার মতো নয়।বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলিম ছাড়াও অমুসলিম পর্যটকের পদভারে মুখরিত থাক এ সারা বছর।

শব্দ এবং পরিবেশদূষণ মুক্ত এবং সাগরের নির্মল বাতাস মুসল্লিদের মনে নিঃস্পাপ এক অনুভূতি সৃষ্টি করে। মসজিদে রয়েছে ইসলামিক লাইব্রেরি, জাদুঘর, হাম্মামখানা, মাদরাসা, ঝর্ণা, বিশ্রামাগার। 

মসজিদ ঘিরে থাকা বাগান একটি জনপ্রিয় পারিবারিক পিকনিক স্পট। সব মিলিয়ে এ মসজিদ কাসাব্লাঙ্কার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র এবং মরক্কোর অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

শেখ লোৎফুল্লাহ মসজিদ (Sheikh Lotfollah Mosque)

বিশাল একটি দেশ ইরান। এ দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইতিহাস-ঐতিহ্য,পুরাতত্ত্ব আর সংস্কৃতির বিচিত্র সমৃদ্ধ উপাদান।ইস্ফাহানকে বলা হয় 'নেসফে জাহান' মানে অর্ধ বিশ্ব।সুতরাং বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে এই শহরে রয়েছে ঐতিহাসিক বহু নিদর্শন এবং প্রাণবন্ত ও মনোরম দৃশ্যাবলি। হাখামানেশিদের সময় ইস্ফাহান শহরে ছিল শাসকদের রাজকীয় বাসভবন। বিভিন্ন শহরের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্টও ছিল ইস্ফাহান শহর।

শেখ লুৎফুল্লাহ ইরানের সাফাভী শাসনামলে লেবাননের জাবাল আমাল থেকে ইসফাহানে এসে বসতি স্থাপনকারী একজন প্রখ্যাত শিয়া আলেম। সাফাভী শাসক শাহ আব্বাসের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি ইসফাহানে আগমন করেন। তার নামানুসারেই ইসফাহানের খ্যাতনামা শেখ লুৎফুল্লাহ মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে।

শেখ লৎফুল্লাহ মসজিদ - www.islamblogbd.com


মূলত রাজ পরিবারের সদস্যদের নামাজ আদায়ের জন্য এই মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল। নামাজ আদায় করা ছাড়াও মসজিদটি একইসাথে ধর্মতত্ত্ব বিষয়ক বিদ্যালয় বা মাদ্রাসা হিসেবে ব্যবহৃত হত। ১৬০২ সালে মসজিদটির নির্মানকাজ শুরু হয় এবং ১৬১৯ সালে তা নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

মসজিদটির দেওয়ালে দেওয়ালে বিভিন্ন নকশা, মোজাইক ও ক্যালিওগ্রাফির মাধ্যমে মসজিদটিকে এক অপূর্ব সৌন্দর্য প্রদান করা হয়েছে।

মসজিদটিতে প্রবেশ করতে প্রথমেই একটি করিডর পার হওয়ার প্রয়োজন হয়। বাইরের ধাঁধাঁলো আলো থেকে ভেতরের হালকা আলোতে চোখকে সহনীয় করে নেওয়ার জন্যই এই করিডরটির উদ্ভাবনা।

মসজিদটির ১৩ মিটার ব্যাসের গম্বুজটি বিচিত্র নকশায় সজ্জিত। ৩২ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট গম্বুজটির বিভিন্নদিকে ষোলটি জানালা রয়েছে। অভিন্ন আকার-আকৃতির এই জানালাগুলো মসজিদটির মূল নামাজকক্ষে সমানভাবে আলো সরবরাহ করে।

কোন প্রকার বাহির আঙ্গিনা ও মিনার বিহীন এই মসজিদটি উস্তাদ মুহাম্মদ রেজা ইসফাহানীর তত্ত্ববধানে নির্মিত হয়। সাফাভী শাসনামলের এই স্থাপত্য নিদর্শনটি সাফাভীদের এই রাজধানী শহরের অন্যতম প্রধান এক পর্যটন আকর্ষন।

আল আকসা মসজিদ (Al aqsa mosque)

ফিলিস্তিনের আল আকসাকে মুসলমানদের পবিত্র স্থান বলে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। তাদের পাসকৃত এক প্রস্তাবনায় বলা হয়, জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের ওপর দখলদার ইসরাইলের কোনো অধিকার নেই, আল আকসা মুসলমানদের পবিত্র স্থান।এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য ও বিশ্বসমাজে সর্বজনবিদিত বিষয়ও। যদিও এটিকে দখলদার ইহুদিরা তাদের মন্দির দাবি করে।হানাদার ইসরাইল বাহিনী অন্যায় আগ্রাসন ও মানবতাবিরোধী আচরণ করে যাচ্ছে।

আল আকসা বা বায়তুল মোকাদ্দাস হচ্ছে- মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রথম কেবলা এবং মক্কা ও মদিনার পর তৃতীয় পবিত্র স্থান। হজরত রাসূলে করিম (সা.) মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদুন্নবী ও বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদের উদ্দেশে সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যা অন্য কোনো মসজিদ সম্পর্কে করেননি।

al aqsa mosque
আল আকসা মসজিদ - www.islamiblogbd.com

বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদ বা আল আকসা মসজিদ এবং তার আশপাশের এলাকা বহু নবীর স্মৃতিবিজড়িত। এ পবিত্র নাম শুধু একটি স্থানের সঙ্গে জড়িত নয় বরং এ নাম সব মুসলমানের ঈমান ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

নীল মসজিদ (Blue Mosque)

blue mosque
নীল মসজিদ - www.islamiblogbd,com

ইস্তাম্বুলের আকাশে দিগন্ত ছোঁয়া এক সৌন্দর্যপুর্নর এই নীল মসজিদ।ছয়টি মিনার দিয়ে তৈরি এটি একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা যা রাজকীয় শহরটিকে আরো আকর্ষনী করেছে। এটি ১৬০৯ থেকে ১৬১৯ সালের মধ্যে অটোমান শাসক প্রথম আহমেদের রাজত্বকালে একটি গম্বুজ এবং অর্ধ-গম্বুজগুলির একটি সিরিজে নির্মিত হয়েছিল। গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল গম্বুজ থেকে নিচু গম্বুজগুলির সুন্দর সাজানো। ক্যাসকেডের পাশাপাশি, ফুল, গাছ এবং ২০০০০ নীল ইজনিক টাইলস সিলিং এবং মেঝে আস্তরিত করা হয়ে যার নীলাভ আভা শহরে যে কোন প্রান্ত থেকে দেখা যায়। নীল মসজিদ সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন

আকসুনকুর মসজিদ (Aqsunqur Mosque)

Aqsunqur Mosque

চৌদ্দ শতকের শুরুতে হতে আকসুনকুর মসজিদটি মিশরের রাজধানী কায়রোতে গর্বের সাথে দাঁড়িয়েছে। একটি স্পষ্ট অটোমান শৈলীর প্রতিফলন।সম্পুর্ন মসজিদটি ইজনিক টাইলসের সাহায্যে তৈরী।এখানে আছে অসংখ্য সারিবদ্ধ সাইপ্রেসের মনোমুগ্ধকর বিভিন্ন গাছ। ফুলদানিতে সাজানো টিউলিপের সমারহ।মসজিদে এর প্রতিষ্ঠাতা শামস এল-দীন আকসুনকুর তার নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে।এই মসজিদ চত্ত্বরে তার এবং তাঁর পুত্রদের সমাধি রয়েছে।

আল হারাম মসজিদ (Al Haram Mosque)

Al Haram Mosque

সৌদি আরবের মক্কা শহরে অবস্থিত, পবিত্র মসজিদ এবং ইসলামের অন্যতম প্রধান মসজিদ।কারণ এটি কোরআন দ্বারা নির্দেশিত আল্লাহর উপাসনার জন্য নির্মিত প্রথম ঘর হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে। আল হারাম কেবল বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদই নয়, এটি সবচেয়ে পবিত্র হিসাবে বিবেচিত হয়। ৪,০০,৮০০ বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই মসজিদ হজ্ব, পালনের সময় এবং মুসলমানদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক ধর্মীয় দায়িত্বের সময় প্রায় ৪০ মিলিয়ন লোককে স্থান দিতে পারে।

উবুদিয়া মসজিদ (Ubudiah Mosque)

Ubudiah Mosque

কুয়াল কংসসার রাজকীয় শহর উবুদিয়া মসজিদটি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর উপাসনা স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি চারটি মিনার এবং একটি সোনার গম্বুজ দ্বারা গঠিত, সুলতান ইদ্রিস মুশিদুল আজম শাহের কমান্ডে ব্রিটিশ স্থপতি আর্থার বেনিসন হুবাক দ্বারা নকশা করা হয়েছিল। সুলতান একটি অসুস্থতা থেকে নিরাময়ের জন্য ধন্যবাদ হিসাবে দুর্দান্ত সৌন্দর্যের একটি মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজ, এটি পেরাক রাজ্যের সকল মুসলমানের কাছে গৌরবের প্রতীক।

উজির খান মসজিদ (Wazir Khan Mosque)

Wazir Khan Mosque

পাকিস্তানের উত্তর দিকের প্রাচীন শহর লাহোরে অবস্থিত, এই অঞ্চলের ব্যস্ততম একটি রাস্তায় উজির খান মসজিদটি ১৭ শতকের পর থেকে দাঁড়িয়ে আছে এবং এই শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। ফ্রেস্কো পেইন্টিংস এবং টাইলস সহ মসজিদটি অভ্যন্তরীণ এবং বাইরে উভয়ই আকৃষ্ট হয়েছে, এতে প্রধানত কোবাল্ট, সেরুলিয়ান নীল, সবুজ, কমলা, ইয়েলো এবং বেগুনি বর্ণ রয়েছে। কাশ্মীরি বাজারকে উপেক্ষা করে দেখা শীর্ষস্থান থেকে নেওয়া দৃশ্যটি লাহোরের অন্যতম দম ফেলার এক জায়গা।

কর্ডোবার মসজিদ-ক্যাথেড্রাল (Mosque-Cathedral of Cordoba)

Mosque-Cathedral of Cordoba

দক্ষিণ স্পেনের প্রাণকেন্দ্রগুলির মধ্যে কর্ডোবা মসজিদটি এখানে মুরিশ স্থাপত্যের অন্যতম সেরা উদাহরণ। যদিও বিল্ডিংটি মূলত ৬ষ্ঠ শতাব্দীর ক্যাথলিক গীর্জা ছিল।যখন ইসলামী সালতানাত ৮ম শতাব্দীতে স্পেনে ছড়িয়ে পড়েছিল।এটি কনস্টান্টিনোপল এবং দামেস্কের জাঁকজমককে প্রতিদ্বন্দ্বী করার জন্য নির্মিত ৩০০ ইউরোপীয় মসজিদের একটিতে পরিণত হয়েছিল। ৭১১ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে অর্ধেকভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।পড়ে এটিকে ১৬ শতকে রোমান ক্যাথলিক চার্চে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।




পাকিস্তানের বৃহত্তম এবং সুন্দর মসজিদ ( the largest and beautiful mosque in the pakistan )

Shah Feisal mosque


কিং ফয়সাল মসজিদ (King Faisal Mosque)

ফয়সাল মসজিদ (উর্দু: فیصل مسجد) পাকিস্তানের ইসলামাবাদের মার্গলা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।শহরের শ্রেষ্ঠ দর্শনীয় স্থান এটি। এটিকে ইসলামাবাদের অন্যতম আকর্ষণও বলা যায়। মসজিদটি একটি উল্লেখযোগ্য অবকাশের স্থান এবং এটি ইসলামী স্থাপত্যের সমসাময়িক এবং আধুনিক স্থাপত্য নির্দশন হিসাবে  চিহ্নিত করা হয়েছে।

নির্মান সালঃ ১৯৬৬ সালে এই সৌধের নির্মাণকার্য শুরু হয়। ১৯৮৬ সালে মসজিদের নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ হয়।তুরস্কের পরিকল্পনাকারী বেদাত ডালোকয়ের শৈল্পিক পরিকল্পনাটি বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার পরে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

ব্যয়ঃ পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্বপুর্ণ সৌদি আরব সরকার এই নির্মাণকার্যের বেশির ভাগ অর্থ বহন করে। সৌদি আরবের রাজা শাহ ফয়সলের নামানুসারে এই মসজিদের নামকরণ হয়। আধুনিক স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শন এই মসজিদ।সৌদি বাদশাহ ফয়সাল, যার নামে মসজিদটি।তিনি মোট $ ১২০ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রদান করেন। 

মসজিদের নিয়ম নীতিঃ মসজিদে ঢোকার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আছে। খালি পায়ে ঢুকতে হয় ভিতরে। মসজিদের অভ্যন্তরের ছবি তোলা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। বাইরের ছবি যত খুশি তোলা যায়। 

কি কি আছে মসজিদেঃ মসজিদের মধ্যে আছে বিশাল আকারের নামাজঘর, লাইব্রেরি, কনফারেন্স হল, মিউজিয়াম এবং ক্যাফে। এ ছাড়া আছে ছোট একটি সেলস কাউন্টার। এখানে দশ হাজারেরও বেশি লোক একসঙ্গে একই জামাতে নামাজ পড়তে পারেন। তা ছাড়া মসজিদের বিশাল প্রসারিত উঠোনে আরও সত্তর থেকে পঁচাত্তর হাজার মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন। সাদা মার্বেলে তৈরি এই চত্বর। মসজিদের চার পাশে রয়েছে বিশাল ফাঁকা জায়গা এবং সবুজ মাঠ। যেখান থেকে মসজিদ পুরোপুরি দর্শন করা যায়। 

বিশেষ সৌন্দর্যঃ বেদুইনদের  তাঁবুর মতো দেখতে এই মসজিদ প্রায় ৫ হাজার স্কোয়ার মিটার জায়গা নিয়ে গঠিত। এটি পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব্বৃহৎ মসজিদ এবং পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মসজিদ।

বিশ্বের প্রথম কুরাআনিক ভিলেজ ও মসজিদ (The world's first Quranic village and mosque)



টারাঙ্গানু মালেশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের অতি নিকটে দক্ষিন পুত্রজায়া তে অবস্থিত। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জ্ঞানের নগরীতে পরিণত হবে টারাঙ্গানু। কারন এখানেই নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের প্রথম কুরআনিক ভিলেজ ও মসজিদ।

ইতিমধ্যেই ক্যলকুলেশন করে বের করা হয়েছে এর ব্যয়, জোগান হয়ে গেছে অর্থেরও।নির্মাণের স্থান ঠিক করে বরাদ্দ দিয়েছেন মালেশিয়ান সরকার।

দেশটির জন প্রিয় পত্রিকা মালয় মেইল, টাইম নিউজসহ অনেক গনমাধ্যম তা প্রকাশ করেছেন।

রাজধানী কুয়ালালামপুরের দক্ষিণে অবস্থিত পুত্রজায়ায় পর্যটকদের আকর্ষণ করতে তথা কুরআনিক জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে এবং আধুনিক এ শহরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিদেশীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের আধুনিক ও ইসলামিক পরিবেশ তৈরিতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশটি।

দেশটির ফেডারেল টেরিটরিমন্ত্রী আনুয়ার মুসা (Annuar Musa) বিশ্বের সেলিব্রেটিদের প্লাটফর্ম টুইটারে এক টুইটবার্তায় মসজিদ ও কুরআনিক ভিলেজ নির্মাণের ঘোষণা দেয়। তাতে মসজিদ ও কুরআনি ভিলেজের একটি ছবিও পোস্ট করেন।এটি নশরুল কুরআন বিশেষ স্থাপনার অংশ বিশেষ।

মুসলিম পর্যটকদের জন্য নিরাপদ দেশ হিসাবে ইতিমধ্যেই মুসলমানদের মন জয় করে নিয়েছেন।

ইতিমধ্যে দেশটি এই কুরআনিক ভিলেজ ও মসজিদ নির্মাণে ২০ একর জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। এর নকশা করা প্রায় শেষ। 

আল্লাহর ই’চ্ছায় আগামী বছর তথা ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকে এর নির্মাণ কাজ এর শুভ সুচনা হবে বলে টুইট বার্তায় আশা প্রকাশ করেন এ মন্ত্রী। 

কুরআনিক এ নগরী ও মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হবে মালেশিয়ান টাকায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন রিংগিত।

বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠী ও শুভানুধ্যায়ীদের থেকে সংগ্রহ করা হবে অর্ধেক অর্থ আর বাকী অর্থের জোগান দাতা হচ্ছে মালেশিয়ার সরকার। 

মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় নির্মিত এ নগরী ও মসজিদ বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র ইউনিক স্থাপনা বলেও দাবি করেছেন দেশটি। এ মসজিদ থাকবে একত্রে ৫ হাজার লোকের নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা।

কুরআনিক বিজ্ঞান ও ভবি’ষ্যদ্বাণীমূ’লক একটি কেন্দ্রও থাকবে তাতে। এতে আরও থাকবে-ছাত্রদের জন্য ছাত্ত্রাবাস, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান পালনের জন্য কমিউনিটি সেন্টার, কেনা কাটার জন্য ৫ষ্টার শপিংমল ও সুস্থ বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

জনপ্রিয় এই মন্ত্রী আরও জানান, ‌কুরআনিক এ ভিলেজ ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ মসজিদটি মালয়েশিয়া স’রকারের পাশাপাশি আরব বিশ্বের দেশ কুয়েত, ইরাক, ন্যাটোভুক্ত দেশ তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সুলতান শাসিত ব্রুনাইয়ের জন্য উৎসর্গ করা হবে।