![]() |
হজ্ব পালনের বিস্তারিত সময় সুচী |
২০২৫ সালের হজ্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে প্রদান করা হলো, যা বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য প্রাসঙ্গিক:
![]() |
হজ্ব পালনের বিস্তারিত সময় সুচী |
২০২৫ সালের হজ্ব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে প্রদান করা হলো, যা বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য প্রাসঙ্গিক:
![]() |
বুখারী শরীফের জনপ্রিয় হাদীস |
বুখারী শরীফ (সহীহ আল-বুখারী) ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাদীস সংগ্রহ। এখানে বেছে দেওয়া হলো বুখারী শরীফের জনপ্রিয় হাদীস, যেগুলো মুসলমানদের জীবনাচারে গভীর প্রভাব ফেলে:
হাদীস:
"إنما الأعمال بالنيات، وإنما لكل امرئ ما نوى..."
বাংলা অনুবাদ:
“নিশ্চয়ই সকল কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল, আর প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফলন হবে।”
সহীহ বুখারী: হাদীস নং ১
🔹 এই হাদীসটি ইসলামে কাজের উদ্দেশ্য বা নিয়তের গুরুত্ব তুলে ধরে।
হাদীস:
"بني الإسلام على خمس..."
বাংলা অনুবাদ:
“ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত: (১) আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর রাসূল—এ সাক্ষ্য দেওয়া, (২) সালাত কায়েম করা, (৩) যাকাত দেওয়া, (৪) রমযানে রোযা রাখা এবং (৫) হজ্ব করা।”
সহীহ বুখারী: হাদীস নং ৮
হাদীস:
“آية المنافق ثلاث...”
বাংলা অনুবাদ:
“মুনাফিকের তিনটি লক্ষণ রয়েছে: যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন প্রতিশ্রুতি দেয় তা ভঙ্গ করে, আর যখন আমানত রাখা হয়, সে তাতে খিয়ানত করে।”
সহীহ বুখারী: হাদীস নং ৩৩
হাদীস:
“لا يؤمن أحدكم حتى يحب لأخيه ما يحب لنفسه”
বাংলা অনুবাদ:
“তোমাদের কেউ পরিপূর্ণ মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে নিজের জন্য যা পছন্দ করে, তা তার ভাইয়ের জন্যও পছন্দ করে।”
সহীহ বুখারী: হাদীস নং ১৩
হাদীস:
“الطهور شطر الإيمان...”
বাংলা অনুবাদ:
“পরিচ্ছন্নতা হল ইমানের অর্ধেক।”
সহীহ বুখারী (মুসলিমেও বর্ণিত)
![]() |
Shalbari Mosque |
ঐতিহাসিক শালবাড়ি মসজিদ (Shalbari Mosque) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে ভাউলারহাটে অবস্থিত। ১২১৫ বাংলা (১৮৮৮ খ্রি) সনে শিলালিপির তথ্যঅনুসারে শালবাড়ী মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। শালবাড়ি মসজিদটি পরবর্তীতে সংস্কার করার সময় মসজিদের মূল নকশা বিপুল পরিবর্তন সধিত হয়। এই শালবাড়ি মসজিদ থেকে কিছুটা দূরে ভগ্নাবস্থায় একটি ইমামবাড়া (Imambara) রয়েছে। শালবাড়ি মসজিদ ও ইমামবাড়া এই দুটি স্থাপনাকে সমসাময়িক বলে ধারনা করা হয়। এই মসজিদের চারপাশে প্রচুর শাল গাছ রয়েছে,এর জন্য হয়তো জায়গাটির নাম শালবাড়ি। এই মসজিদের নির্মাতা ছিলেন পূণির্য়া জেলার শীতলপুর জমিদারের বংশধর। তারা সবাই সিন্দুরা গ্রামে বসবাস করতেন। বর্তমানে শালবাড়ি মসজিদে সংস্কার করা হয়। এই মসজিদটিকে পূর্ব দিকে প্রসারিত করা হয়েছে। ১৯৯৪ সালে পশ্চিম দিকের বর্হিদেয়ালে মিহরাবের বধিত অংশটি নির্মাণ করা হয়।
শালবাড়ী মসজিদটি বর্গাকৃতির। এই মসজিদের বাহিরের দিকে আয়তন ৫.২০ মি × ৫.২০ মি। মসজিদের পূর্ব দিকে ছিলো ১.২০ মি প্রস্থ বিশিষ্ট বারান্দা। বর্তমানে এই মসজিদের বারান্দাকে একটি কক্ষে রূপান্তরিত করা হয়েছে। শালবাড়ী মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করার জন্য ৩ টি খিলান রয়েছে। এই মসজিদের মাঝের খিলানের প্রস্থ ০.৭০ মিটার এবং এর উচ্চতা ২.১৫ মিটার। পাশের দুটি খিলান সমমাপের এবং মাঝের খিলানটির তুলনায় অপেক্ষাকৃত ছোট। শালবাড়ী মসজিদের কার্নিস সমান্তরাল। গম্বুজের ব্যাস ১৫.৩০ মিটার। এই মসজিদের চার কোণে রয়েছে ৪ টি কর্ণায় টাওয়ার। মসজিদের ভিতরে পশ্চিম দিকে রয়েছে ৩ টি মিহরাব। মাঝের মিহরাবটি পাশের দুটি মিহরাব এর চেয়ে বড়। মসজিদে উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে দুটি জানালা এবং মসজিদের সমস্ত দেওয়ালে প্লাস্টার করা।
ইমামবাড়ার বাহিরের অংশে দৈর্ঘ্য ১৯ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং এর প্রস্থ ১৩ ফুট। এছাড়াও ইমামবাড়ার পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দেওয়ালে ২ টি করে ৪ টি এবং উত্তর ও দক্ষিণে ১ টি করে ২ টি দরজা রয়েছে। এই ইমামবাড়ায় বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক ও রেলপথে ঠাকুরগাঁও যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও এর উদ্দেশ্যে যেগুলো বাস যায় সেগুলো হলো - হানিফ এন্টারপ্রাইজ,বাবলু এন্টারপ্রাইজ,কর্ণফুলী পরিবহন,নাবিল পরিবহন,কেয়া পরিবহন, প্রভৃতি বাসগুলোতে যেতে পারেন। ঠাকুরগাঁও জেলা শহর হতে অটোরিক্সা বা সিএনজি নিয়ে ভাউলারহাটের কাছে অবস্থিত শালবাড়ী মসজিদে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেনঃ
ঠাকুরগাঁও নর্থ সার্কুলার রোডে হোটেল সালাম ইন্টার ন্যাশনাল,হোটেল শাহ্ জালাল, হোটেল প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল ও হোটেল সাদিক সহ বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।
কোথায় খাবেনঃ
ঠাকুরগাঁও ভাউলারহাটে হালকা চা-নাস্তা করার মতো কিছু দোকান রয়েছে। তবে ঠাকুরগাঁও জেলা সদরে গাউছিয়া হোটেল, হাজী বিরিয়ানি হাউজ, নিউ সুরুচি হোটেল প্রভৃতি ভালমানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলার দর্শনীয় কিছু স্থানঃ
ঠাকুরগাঁও জেলার অনান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে - বালিয়াডাঙ্গী সূর্যপূরী আমগাছ, ফানসিটি,বালিয়া মসজিদ, লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘর উল্লেখযোগ্য।
সর্তকতাঃ
যানবাহনের ভাড়া,হোটেলও রিসোর্ট ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে অনেক সময় পরিবর্তন হয়ে থাকে। এর কারণে ইসলামী ব্লগ বিডিতে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানে সাথে মিল না ও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনারা যখন ভ্রমন করতে যাবেন তখন আপনারা একটু খোঁজখবর নিয়ে বাসা থেকে বের হবেন। এছাড়াও আপনাদের সুবিধার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাধ্যমে হোটেল, রিসোর্ট,যানবাহনের মোবাইল নম্বর দিয়ে থাকে। আপনারা এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেন করার আগে যাচাই করে নেবার জন্য অনুরোধ করা হলো। কোনো আথিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্য www.islamiblogbd.com দায়ী থাকবে না।
![]() |
Bahela mosque |
বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের গৌরবময় সাক্ষ্য। তেমনই একটি স্থাপনা হচ্ছে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার বাহেলা ইউনিয়নে অবস্থিত বাহেলা মসজিদ। যার পূর্ননাম আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ। ঐতিহাসিক, স্থাপত্যশৈলী ও ধর্মীয় গুরুত্ব—সব দিক থেকে এই মসজিদ একটি চমৎকার নিদর্শন।
বাহেলা মসজিদটি মূলত স্থানীয় মুসলিম সমাজের ধর্মীয় চর্চার কেন্দ্র হলেও, এখন এটি পর্যটকদের আগ্রহের এক বিশেষ স্থান হয়ে উঠেছে। মসজিদের অবস্থান বেলকুচি উপজেলার বাহেলা ইউনিয়নে, যা সিরাজগঞ্জ শহর থেকে কিছুটা দূরে হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো এখন সহজ।
মসজিদটির স্থাপত্যে ঐতিহ্যবাহী ইসলামি স্থাপত্যের প্রভাব স্পষ্ট। এর দেয়ালে নজরকাড়া কারুকাজ, গম্বুজের নিখুঁত নির্মাণ ও মিনারগুলোর নকশা প্রমাণ করে এটি কেবল ধর্মীয় স্থাপনাই নয়, বরং একটি শিল্পকর্ম। মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করলেই এক ধরনের পবিত্রতা ও প্রশান্তি অনুভব করা যায়।
বাহেলা মসজিদ শুধুমাত্র নামাজ আদায়ের স্থান নয়—এটি একটি ধর্মীয় ও সামাজিক মিলনকেন্দ্র। প্রতিদিন বহু মুসল্লি এখানে জামাতে অংশগ্রহণ করেন। রমজান মাস, ঈদ এবং ইসলামি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মসজিদটি becomes a vibrant center of activity.
যারা বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্য ও স্থাপত্য ভালোবাসেন, তাদের জন্য বাহেলা মসজিদ একটি চমৎকার গন্তব্য। স্থানীয় বাজার, নদীর পাড় এবং আশপাশের সবুজ প্রকৃতি মিলিয়ে এটি একটি স্বস্তিদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেয়।
বাসে: পাবনা থেকে সিরাজগঞ্জগামী বাসে উঠে সিরাজগঞ্জ শহরে পৌঁছাতে পারেন। সেখান থেকে স্থানীয় পরিবহন (অটোরিকশা বা সিএনজি) ব্যবহার করে বেলকুচি যেতে পারেন।
ট্রেনে: পাবনা থেকে সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে যেতে পারেন। স্টেশন থেকে বেলকুচি পৌঁছাতে স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করতে হবে।
সড়কপথে: সিরাজগঞ্জ শহর থেকে বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাঁতি মহল্লায় অবস্থিত মসজিদটি প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়ক ধরে সরাসরি গাড়ি বা অটোরিকশায় যেতে পারেন।
বেলকুচিতে কিছু জনপ্রিয় খাবারের স্থান:
বর্ণনা: বেলকুচিতে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট, যেখানে কাচ্চি বিরিয়ানি, ফাস্টফুড এবং স্ট্রিট ফুড পাওয়া যায়।
সময়সূচি: প্রতিদিন দুপুর ১১:০০ থেকে ২:৩০ এবং সন্ধ্যা ৫:০০ থেকে ১০:০০ পর্যন্ত খোলা থাকে।
ঠিকানা ও আরও তথ্য: chaiimama.com
বর্ণনা: চালা বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টে স্থানীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।
যোগাযোগ: 01780-733166Facebook
ফেসবুক পেজ: Facebook
বর্ণনা: বেলকুচির একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকান, যেখানে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায়।
অবস্থান: বেলকুচি বাজার এলাকায়।
মসজিদ খোলা থাকে: প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে।
ঠিকানা: সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়ক, মুকুন্দগাঁতি মহল্লা, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ।
মসজিদ সম্পর্কে আরও তথ্য: Wikipedia
পোশাক: মসজিদ পরিদর্শনের সময় শালীন পোশাক পরিধান করুন।
জুতা: মসজিদের ভেতরে প্রবেশের আগে জুতা খুলে নির্ধারিত স্থানে রাখুন।
ছবি তোলা: মসজিদের ভেতরে ছবি তোলার আগে অনুমতি নেওয়া উচিত।
পরিবহন: স্থানীয় পরিবহন ব্যবহারের সময় ভাড়া আগে থেকেই জেনে নিন।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার ভ্রমণকে আরও সহজ এবং আনন্দদায়ক করবে। যদি আরও কোনো তথ্যের প্রয়োজন হয়, নির্দ্বিধায় জানতে পারেন। শুভ ভ্রমণ!
বাহেলা মসজিদ কেবল একটি প্রাচীন মসজিদ নয়, এটি একটি ইতিহাস বহনকারী নীরব সাক্ষী। যারা ধর্ম, ইতিহাস ও স্থাপত্যের মেলবন্ধন অনুভব করতে চান, তাদের জন্য বাহেলা মসজিদ নিঃসন্দেহে একটি দর্শনীয় স্থান।